Bhupatinagar blast recap: বিস্ফোরণের তীব্রতায় যোজন দূরে ছিটকে গেছিল দেহ, সেই রাতে ঠিক কী হয়েছিল ভূপতিনগরে?

ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে গিয়ে শনিবার সকালে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছে NIA. তবে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে কলকাতা নিয়ে এসেছেন NIA আধিকারিকরা। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল ভূপতিনগরে, যার জেরে NIA-এর তৎপরতা। দেখে নিই ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শীতের রাতের সেই ঘটনার রিক্যাপ।

কী ঘটেছিল সেই রাতে?

২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক আগের দিন ২ ডিসেম্বর রাতে ১১টা নাগাদ ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে রাজকুমারবাবু ছাড়াও মৃত্যু হয় তাঁর বাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়িটির টালির চালা উড়ে যায়। দেহগুলি ছিটকে পড়ে বাড়ি থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে।

NIA তদন্তের দাবি করেন শুভেন্দু

ওই দিনই ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে NIA তদন্তের দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণে তৃণমূল নেতার বাড়ি উড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, গুরুতর জখম হয়েছেন ২ জন। তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না তাঁর বাড়িতে বসে বোমাবাঁধছিলেন, সেই সময়ই এই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। আমি এনআইএ তদন্তের দাবিজানাচ্ছি।’

বিস্ফোরণেই মৃত্যু জানান তৃণমূল নেতার স্ত্রী

বিস্ফোরণেই যে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে তা স্বীকার করেন রাজকুমার মান্নার স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার সবেমাত্র চোখটা লেগে এসেছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ হল। দেখি ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমার স্বামী রাজকুমার মান্না, আর দুই দেওর ছিল’।

জমি দখল করে গুন্ডারাজ কায়েমের অভিযোগ

স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, ‘এলাকার মানুষজনকে পার্টি অফিসে গিয়ে পেটাত তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ, বিগত ১২ বছর ধরে গ্রামের ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমিতে কেউ চাষ করতে পারত না। আরও অভিযোগ, বোমা বন্দুক নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াত তারা’।

মাটিতে পুঁতে রাখা বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ

দেহ লোপাট করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার ৪ দিন পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেন্সিক দল। সেখানে গিয়ে তারা দেখে বিস্ফোরণস্থলে তৈরি হয়েছে ২টি বিশাল গর্ত। তার পর প্রাথমিক রিপোর্টে তারা জানায় মাটির তলায় পুঁতে রাখা বিস্ফোরক থেকেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ।

এই ঘটনার তদন্তে ৮ জন তৃণমূল নেতাকে ২ বার তলব করেছে NIA. কিন্তু NIAএর তলবে হাজিরা দেননি তাঁরা কেউ। এর পর সরাসরি অভিযুক্তদের গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেন NIAএর আধিকারিকরা।