Coast Guard saves 9 from burning boat: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার বোটে আগুন, অগ্নিদগ্ধ ৯ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করল কোস্ট গার্ড

দু’দিন আগেই বঙ্গোপসাগর থেকে ২৭ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ ‘আমোঘ’। আর এবার ফের বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করল কোস্ট গার্ড। জানা গিয়েছে, বিশাখাপত্তনমের অদূরেই একটি মাছ ধরার বোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোস্ট গার্ডের জাহাজ। এরপর সেখান থেকে আগুনে ঝলসে যাওয়া ৯ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। ‘দুর্গা ভবানী’ নামক সেই মাছ ধরার বোটে থাকা সকল মৎস্যজীবী গুরুতর ভাবে আহত হলেও প্রাণহানীর কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড। আপাতত বিশাখাপত্তনমের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সেই ৯ মৎস্যজীবী। (আরও পড়ুন: ‘১৫ লাখের অপেক্ষায় অনেকে ওপরে চলে গিয়েছে’, মোদীর ‘প্রতিশ্রুতি’ নিয়ে বেলাগাম দিলীপ ঘোষ)

আরও পড়ুন: প্রচারে গিয়ে মহা বিপাকে মহুয়া, চরম বিশৃঙ্খলা TMC প্রার্থীকে ঘিরে

এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতীয় কোস্ট গার্ড ভোররাতে একটি বিবৃতি জারি করে। তাতে বলা হয়, ‘বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ৬৫ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রে ভারতীয় মাছ ধরার নৌকা ‘দুর্গা ভবানী’-তে আগুন লেকে গিয়েছিল। সেই খবর পেয়ে ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড জাহাজ ‘বীরা’-কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ৯ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। কোস্ট গার্ডের জাহাজে থাকা মেডিক্যাল টিম তাৎক্ষণিক ভাবে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। পরে সেই জাহাজে করেই তাঁদের বিশাখাপত্তনমে আনা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় থাকলেও ৯ জন মৎস্যজীবীর সকলেই জীবিত। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন: এবার UPI ব্যবহার করে ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে টাকা! ভাবনাচিন্তা RBI-এর

এর দু’দিন আগেই বাংলাদেশের একটি মাছ ধরার ট্রলার মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়েছিল। ‘সাগর ২’ নামক সেই ট্রলার থেকে ২৭ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে কোস্ট গার্ডের জাহাজ ‘আমোঘ’। সেই ঘটনাটি ঘটেছিল ৪ এপ্রিল, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমানা থেকে সেই ২৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কলকাতায় কোস্ট গার্ডের আঞ্চলিক সদর দফতর থেকে বাংলাদেশে এই ঘটনার খবর পাঠানো হয়। পরে ‘সাগর ২’ নামক সেই মাছ ধরার বোটটিকে বাংলাদেশে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। পরে ঘটনার তদন্ত করে জানা যায়, বাংলাদেশি ট্রলারটির স্টিয়ারিং গিয়ার ভেঙে গিয়েছিল। এই আবহে দু’দিন ধরে তারা মাঝ সমুদ্রে ভেসে বেড়াচ্ছিল। সেভাবেই উদ্দেশহীন ভাবে ভাসতে ভাসতে সেই বোটটি ভারতীয় জলসীমায় প্রেশ করে। তখন কোস্ট গার্ডের নজরে পড়ে বিষয়টি। সেখানে গিয়ে কোস্ট গার্ডের ইঞ্জিনিয়াররা দেখেন, ‘সাগর ২’-এর গিয়ার ঠিক করা সম্ভব নয়। পরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জাহাজ সেই মাছ ধরার বোটটিকে টেনে নিয়ে যায়। পরে এই ঘটনা নিয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছিল।