Largest Digital Camera: ডার্ক এনার্জির ছবি তোলা হবে! তৈরি হল ৩২০০ এমপির সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরা

মহাকাশে কী আছে, কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে গ্যালাক্সি, ডার্ক এনার্জিরই বা উদ্ভব কীভাবে, সবটা জানতে এবার ক্যামেরা তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশের অগণিত রহস্য সমাধানের জন্য এই আশ্চর্যজনক আবিষ্কারটি করেছেন তাঁরা – বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল ক্যামেরা! এই ক্যামেরায় মোট ৩২০০ মেগাপিক্সেল রয়েছে, যা কল্পনা করাও কঠিন। আমেরিকার ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি এই ক্যামেরা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

২০ বছর ধরে তৈরি হয়েছে এই ক্যামেরা

বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল ক্যামেরার নাম রাখা হয়েছে এলএসএসটি। এই ক্যামেরাটি তৈরি করতে বিজ্ঞানীদের সময় লেগেছে ২০ বছর। চিলিতে অবস্থিত ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরির একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপে ইনস্টল করা হবে এই বিরাট ক্ষমতাসম্পন্ন সর্ববৃহৎ ক্যামেরা। এটি রুবিন অবজারভেটরির সিমোনি সার্ভে টেলিস্কোপে ইনস্টল করার পর, যেখান বসে মহাবিশ্বের আশ্চর্যজনক ছবি তুলে আনবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই ছবিগুলো এতটাই স্পষ্ট হবে যে আমরা মহাকাশ সম্পর্কে আরও নানান অজানাকে অতি সহজেই জানতে পারব।

কী কী ছবি তুলবে ক্যামেরাটি

এলএসএসটি ক্যামেরা ডার্ক ম্যাটার, ডার্ক এনার্জি, দূরবর্তী গ্যালাক্সি এবং আমাদের নিজস্ব সৌরজগত সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যাপক সাহায্য করবে। এই ক্যামেরার ছবিগুলো এত বিস্তারিত এবং স্পষ্ট হবে যে আপনি ২৫ কিলোমিটার দূরে পড়ে থাকা একটি গলফ বলও নিখুঁতভাবে দেখতে পাবেন! এটি পূর্ণিমার চাঁদের আশ্চর্যজনক ছবিও তুলতে পারে। এলএসএসটি সমীক্ষা আমাদের কোটি কোটি গ্যালাক্সি, আমাদের নিজস্ব গ্যালাক্সিতে আনুমানিক ১৭ বিলিয়ন তারা, মিল্কিওয়ে এবং লক্ষ লক্ষ সৌরজগতের অজানাকে চেনাবে। ৫.১ ফুট প্রস্থে, ক্যামেরার অপটিক্যাল লেন্স ২০ সেকেন্ডের ব্যবধানে আকাশের ১৫ সেকেন্ডের এক্সপোজার ক্যাপচার করবে।

বিশ্বের সর্ব বৃহৎ এই ক্যামেরার আকারটি কেমন হবে

একটি ছোট গাড়ির আকারের হবে এই ক্যামেরাটি। এর ওজন প্রায় ৩০০ কেজি। এর প্রধান লেন্সটি আবার প্রায় ৫ ফুট চওড়া, এই ধরনের কাজের জন্য তৈরি করা সবচেয়ে বড় লেন্স হতে চলেছে এটি। এটির দ্বিতীয় লেন্সটিও ৩ ফুট চওড়া। এই দুটি লেন্স একটি বিশেষ ভ্যাকুয়াম চেম্বারে রাখা হয়।

কবে থেকে কাজ শুরু করবে ক্যামেরাটি

জানা গিয়েছে, শীঘ্রই এই ক্যামেরাটি প্যাক করার জন্য চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় ৮৯৮০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সিমোনি সার্ভে টেলিস্কোপে নিয়ে যাওয়া হবে। আর খুব তাড়াতাড়ি, এই ক্যামেরা মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ঘাটন করবে এবং মহাকাশ সম্পর্কে আমাদের অনন্য তথ্য প্রদান করবে। যা আগে আমরা কেউ কখনও ভাবতেও পারিনি।