জিম্মি চুক্তির দাবিতে তেল আবিবে বিক্ষোভ-সমাবেশ

গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তির চুক্তির দাবিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ সমাবেশ করেছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। শনিবার ( ৬ এপ্রিল) তেল আবিব ছাড়া ইসরায়েলের অন্যান্য শহরেরও সমাবেশ হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক জিম্মি এলাদ কাৎজিরের মরদেহ উদ্ধার করার পর থেকেই বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়।

গাজায় থাকা জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরাও সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

গাজায় হামাস ও তার সহযোগীদের হাতে থাকা প্রায় ১৩০ জিম্মিকে মুক্ত করতে ইসরায়েল সরকারের অক্ষমতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা এখনই নির্বাচন এবং এলাদ, আমরা দুঃখিত বলে স্লোগান দেন।

আয়োজকেরা বলেন, বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের প্রায় ৫০টি জায়গায় সমাবেশ করেছেন। গাজায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ব্যর্থতা নিয়ে ইসরায়েলিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ কাজ করছে। এই ক্ষোভ থেকেই তার পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলে একের পর এক বড় ধরনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে।

তেল আবিবে বিক্ষোভের মধ্যে একটি গাড়ি ঢুকে পড়েছিল। এতে পাঁচজন আহত হন। তবে এ ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি।

শনিবার গাজা থেকে এলাদের মরদেহ উদ্ধার করে আইডিএফ। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস হামলা চালিয়ে তাঁকেসহ অন্যদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাস। গত জানুয়ারিতে হামাস প্রকাশিত এক ভিডিওতে এলাদকে জীবিত দেখা গিয়েছিল।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান যুদ্ধের ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ রবিবার। এদিনই একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে মিসরের কায়রোতে আবারও আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করছেন মধ্যস্থতাকারীরা।

কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক বিল বার্নস ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি মিসর, ইসরায়েল ও হামাসের আলোচকদের সঙ্গে যোগ দেবেন।

গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছে অন্তত ৩৩ হাজার ১৩৯ ফিলিস্তিনি। আহত কমপক্ষে ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। আর হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।