সদরঘাটে যাত্রী কিছুটা বেড়েছে, তবে নেই চিরচেনা চাপ

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে ভিড় করছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে নেই সদরঘাটে দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের চিরচেনা চাপ। ঈদের আর দুই-তিন দিন বাকি থাকলেও এখনও অধিকাংশ কেবিন ফাঁকা রেখেই ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।

রবিবার (৭ এপ্রিল) রাতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, পন্টুনে বাঁধা রয়েছে সারি সারি লঞ্চ। হাকডাক করে যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। চাঁদপুরের লঞ্চগুলোতে যাত্রীর চাপ থাকলেও বরিশাল-ঝালকাঠি-ভোলা-বরগুনা রুটের লঞ্চগুলো কেবিন ফাঁকা রেখেই ছেড়ে গেছে। তবে ডেকে যাত্রী ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে ৬১টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

বরিশালে সড়ক যোগাযোগ সহজ হওয়ার আগে ঈদের সময় সদরঘাটে সবচেয়ে বেশি চাপ হতো বরিশাল রুটের যাত্রীর। এদিন ঘাটে রাত ৮টার পর অপেক্ষমাণ ছিল এই রুটের ৬টি লঞ্চ। সবগুলো লঞ্চেই ডেকে যাত্রী উপস্থিতি থাকলেও কেবিন অধিকাংশই ছিল ফাঁকা।

প্রিন্স আওলাদ ১০ লঞ্চের স্টাফ হৃদয় বলেন, ‘ডেকে যাত্রী ভালো হয়েছে কিন্তু কেবিন অর্ধেকেরও বেশি ফাঁকা। আমাদের মূল লাভটা আসে কেবিন থেকে। কেবিন বিক্রি না হলে লঞ্চ চালিয়ে লাভ নেই।’

তবে ঘাটে এসে সহজে কেবিন পাওয়ায় স্বস্তির হাসি দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের। এছাড়াও অতিরিক্ত ভাড়া বা হয়রানির অভিযোগ নেই যাত্রীদের। 

বরিশালগামী যাত্রী হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আগেতো কেবিন থাকতোই না দুই-তিনগুণ টাকা বেশি দিয়ে কেবিন নিতে হতো। এখন ঘাটে যখন আসি তখনই কেবিন পাই।’

রবিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে ৬১টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে

বিআইডব্লিউটিএর বার্দিং সারেং মনিরুজ্জামান সুমন বলেন, ‘ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নেই। গতকাল শনিবার বরিশাল রুটের ৩ লঞ্চ ছেড়েছে আর দুইটির যাত্রা বাতিল হয়েছে। আর লঞ্চ ছেড়েছে বিভিন্ন রুটে ৭৭টি। আজ বরিশাল রুটে ৬টি লঞ্চ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবগুলোতেই যাত্রী ভালো আছে, আশা করা যায় কোনোটার যাত্রা বাতিল হবে না। আর আজ রাত ৮টা পর্যন্ত ৬১টি লঞ্চ ছেড়েছে আর এসেছে ৬০টি লঞ্চ।’