Swami Smaranananda: শ্লোকে, গীতে বেলুড় মঠে স্বামী স্মরণানন্দকে স্মরণ করলেন ভক্ত ও সন্নাসীরা

বেলুড় মঠে পালিত হল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রয়াত অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দের বিশেষ পূজা ও ভজন। এই উপলক্ষ্যে রবিবার সকাল থেকে মঠে সমাধিস্থ সন্নাসীকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন অগণিত ভক্ত। স্বামীজিকে ভক্তিভরে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। স্মরণ করেন তাঁর কর্মময় জীবনের অবদানকে।

গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে প্রয়াণ হয় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দের। রবিবার তাঁর বিশেষ পূজার আয়োজন করেছিল রামকৃষ্ণ মঠ কতৃপক্ষ। এদিন ভোরে রামকৃষ্ণ পরমহংসের মন্দিরে মঙ্গলারতি করে আচার পালন শুরু হয়। এর পর বিশেষ পূজা এবং হোমে অংশগ্রহণ করেন সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীরা। এরপর অস্থায়ীভাবে নির্মিত সভামণ্ডপে হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বৈদিক মন্ত্রপাঠ, ভক্তিগীতি, শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ ও ব্যাখ্যা , পদাবলী কীর্তন বাউল গানের আয়োজন ছিল। বিকাল সাড়ে তিনটায় হয় স্বামীজির স্মরণসভা। প্রয়াত মহারাজের স্মৃতিচারণা করেন নির্বাচিত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভারপ্রাপ্ত মঠাধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ, স্বামী সুহিতানন্দ, স্বামী ভজনানন্দ, স্বামী সুবীরানন্দ সহ অন্যান্য মহারাজরা।

এদিন আগত ভক্তদের জন্য ছিল ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা। প্রেসিডেন্ট মহারাজকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা বেলুড় মঠে সমবেত হন। সন্ধ্যায় মূল মন্দিরে সন্ধ্যারতি দিয়ে সমাপন হয় অনুষ্ঠানের। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মহারাজের পূজা উপলক্ষ্যে রবিবার দিনভর বেলুড় মঠের দরজা ছিল অবারিত।

রত্না দে নামে মঠে আগত এক ভক্ত বলেন, ‘দীর্ঘ জীবনে প্রেসিডেন্ট মহারাজ বহু মানুষকে দীক্ষা দিয়েছেন। বহু মানুষকে দুঃখকে জয় করতে শিখিয়েছেন। তাঁর জাগতিক জীবনের অধ্যায় শেষে আমরা আজ তাঁকে স্মরণ করছি। তাঁর জীবন আমাদের কাছে পাথেয়।’