Health Research: ৬ ঘন্টার কাজ হবে ৩০ মিনিটে ! বড় রোগ চিনতে নয়া সেনসর

<p><strong>কলকাতা:</strong><span style="font-weight: 400;"> মাত্র ৩০ মিনিটেই ধরা পড়বে কঠিন থেকে কঠিনতর রোগ। এমনই এক কলের খোঁজ এবার দিলেন আইআইটি যোধপুরের পড়ুয়ারা। সম্প্রতি তাদের চেষ্টাতেই আইআইটির ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ যন্ত্র। এই যন্ত্র মাত্র ৩০ মিনিটেই বড় বড় রোগ নির্ণয় করতে পারবে। এই রোগের তালিকায় রয়েছে সেপসিস, অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ অর্থাৎ ডিমেনশিয়া, ডায়াবেটিস, ছত্রাক সংক্রমণ থেকে ঘটা নানা ধরনের রোগ।</span></p>
<p><strong>মাত্র ৩০ মিনিটেই&hellip;</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">আমাদের শরীরের ভিতরের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখে সাইটোকাইন। এটি একটি বিশেষ ধরনের প্রোটিন। এই প্রোটিনকেই শনাক্ত করবে আইআইটি পড়ুয়াদের আবিষ্কৃত ন্যানো সেনসর। এই ন্যানো সেনসর বর্তমান প্রযুক্তিগুলির থেকে অনেক দ্রুত কাজ করে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাদের কথায়, প্রদাহজনিত রোগকে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে ধরে ফেলতে পারবে এই যন্ত্র। তবে কী করে তা সম্ভব, সে কথাও জানিয়েছেন গবেষকরা।</span></p>
<p><strong>বাজারচলতি যন্ত্র কেমন সময় নেয় ?</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">বাজারচলতি যন্ত্র রোগ শনাক্ত করতে হলে মোটামুটি ৬ ঘন্টাও সময়ও নিয়ে থাকে। সাইটোকাইন শনাক্ত করতে এখন এনজাইম লিঙ্কড ইমিউনোঅ্যাবসরবেন্ট অ্যাসে (এলিজা) ও পলিমারেজ চেন রিয়াকশন (পিসিআর) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিগুলি আস্থাযোগ্য। কিন্তু একই সঙ্গে প্রচন্ড সময়সাপেক্ষ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষার ফলাফল পেতে প্রায় ছয় ঘন্টা লেগে যায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে এই ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হলে প্রচন্ড দক্ষ ব্যক্তিকে প্রয়োজন হয়। তবে নয়া ন্য়ানোসেনসর&nbsp; সহজেই কাজ করে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।</span></p>
<p><strong>কী বলছেন গবেষক ?</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">আইআইটি যোধপুরের ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক অজয় আগরওয়াল জানাচ্ছেন, এই প্রক্রিয়াটি আপাতত পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। খুব শিগগিরই এটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল অর্থাৎ পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য পাঠানো হবে। তাতে কার্যকরী ফল মিললে খুব শিগগির বাজারে আসবে ওই ন্যানোসেনসর।</span></p>
<p><strong>কীভাবে কাজ করে এই ন্যানোসেনসর ?</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">সংবাদমাধ্য়মকে এই গবেষণার সঙ্গে জড়িতে গবেষকরা জানিয়েছেন, সারফেস এনহ্যান্সড রামন স্পেক্ট্রোস্কোপি ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিশেষ পদ্ধতি খুব কম ঘনত্বের মধ্যেও বিশেষ পদার্থগুলিকে খুঁজে বার করা যায়। অর্থাৎ শনাক্ত করা যায়। অন্যদিকে এই চলে&nbsp; ন্য়ানোসেনসর সেমিকনডাকটর প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ করে। পাশাপাশি একে সঙ্গ দেয় সারফেস এনহ্যানসড রামন স্ক্যাটারিং অর্থাৎ এসইআরএস।&nbsp;</span></p>
<p><strong>ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।</strong></p>
<p><strong><em>আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। </em></strong><a href="https://www.whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y/"><strong><em>যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।</em></strong></a></p>
<p><strong>তথ্যসূত্র – আইএএনএস</strong></p>
<p><strong>আরও পড়ুন -&nbsp;<a href="https://bengali.abplive.com/lifestyle/know-why-regular-health-check-up-is-necessary-and-at-what-interval-from-expert-bengali-1058422">Health Tips: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন জরুরি ? কতদিন অন্তর ?</a></strong></p>