Tiger in locality: ঝোপ থেকে উঁকি মারছে ডোরাকাটা! আতঙ্কে আবাসিকরা, তদন্তে জানা গেল খেলনা বাঘ

হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে দেখা যায়, এলাকার ঝোপে উঁকি মারছে একটি বাঘ। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছিল স্থানীয়দের মধ্যে। বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় বন দফতর। কিন্তু, বাঘ তো দূরের কথা বাঘের পায়ের ছাপ বা অন্যান্য কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাননি বনকর্মীরা। পরে জানা গেল, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বাঘের ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে সেটা হল আসলে একটি খেলনা বাঘ! এমনই ঘটনা ঘটেছে গ্রেটার নয়ডার প্যারামাউন্ট গলফ ফরেস্ট আবসনে।

আরও পড়ুন: ফের কুলতলিতে বাঘের আতঙ্ক, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে দক্ষিণ রায়ের দেখোব

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঘের এই ভিডিয়ো হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছিল শনিবার সন্ধ্যায়। তা দেখার পরেই স্বাভাবিকভাবেই আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে বন বিভাগ বাঘের কোনও অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন কর্মীরা ঘোষণা করেছেন ভিডিয়োতে দেখা পাওয়া বাঘটি একটি খেলনা। তাছাড়া এই অঞ্চলে বাঘ প্রবেশ করার কোনও সম্ভাবনা নেই। 

উল্লেখ্য, গত বছর গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার  দাদরির এনটিপিসি প্ল্যান্টের কাছে একটি খালের মধ্য দিয়ে পাশের একটি এলাকায় একটি চিতাবাঘ প্রবেশ করেছিল। এছাড়াও গত ২ এপ্রিল একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ উত্তর দিল্লির জগৎপুর গ্রামে ঢুকে পড়ে বাসিন্দাদের আক্রমণ করেছিল। ফলে তা ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছিল।

প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়োতে দেখা যায়, প্যারামাউন্ট গল্ফ ফরেস্ট এলাকায় একটি রেলওয়ে লাইনের মধ্যবর্তী স্থানে ঝোপের আড়ালে উঁকি মারছে বাঘটি। বন দফতরের দাবি, কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে বাঘের এই ভিডিয়ো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। বন দফতরের কর্মীরা প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালায়। 

তবে এই প্রথমবার নয় এই ধরনের ভিডিয়ো এর আগেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বন বিভাগের আধিকারিকদের মতে, এই ধরনের প্র্যাঙ্ককে উৎসাহিত করা উচিত নয়। বন বিভাগের এক আধিকারিক জানান, যারা খেলনা বাঘ রেখেছিল এবং ভিডিয়োটি রেকর্ড করেছিল তাদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সোসাইটি এবং আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বন বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে।