Balurghat TMC Councillor death: দিনভর নিখোঁজ থাকার পর রেল লাইনের পাশে উদ্ধার তৃণমূল নেতার ৩ টুকরো দেহ

প্রায় ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল বালুরঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের খণ্ডবিখণ্ড দেহ। মঙ্গলবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধারে শহরে শোরগোল পড়েছে। এদিন গাজোল স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ধারে তাঁর দ্বিখণ্ডিত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। তবে ঘটনাটি, খুন – আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি ও বালুঘাট থানার পুলিশ।

মর্নিং ওকায়ে বেরিয়ে নিখোঁজ

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকালে মর্নিং ওয়াকে বেরোন বালুরঘাট পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবজিৎ রুদ্র। তার পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিজনরা। তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানতে পারে, সকাল ৩টে ১৫ মিনিটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালুরঘাট স্টেশনের দিকে গিয়েছেন তিনি। এর পর তাঁর টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ। তাতে চকভৃগু এলাকায় শেষ তাঁর অবস্থান জানা যায়। যদিও তৃণমূল নেতার ফোন ছিল বন্ধ।

ওদিকে পরিবারের উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। ভোটের মুখে দেবজিৎবাবুকে অপহরণের আশঙ্কা করতে থাকেন তাঁরা। তবে সারা রাত তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

রেল লাইনে দেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাটমুখি তেভাগা এক্সপ্রেসের গার্ড রেল লাইনের ধারে একটি দেহ পড়ে থাকার কথা জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জিআরপি দেখে তিন টুকরো একটি দেহ পড়ে রয়েছে। পাশেই তার ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়। এর পর দেবজিৎবাবুর পরিবারের সদস্যরা সেটি তাঁর বলে শনাক্ত করেন।

দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। দেহ ঘিরে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের দাবি, দেবজিৎবাবুকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল নেতার। অথবা আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।

পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বেশ কিছু শারীরিক উপসর্গ ধরা পড়ে দেবজিৎবাবুর। চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। সেজন্য মর্নিং ওয়াক শুরু করেন তিনি। তার জেরেই কোনও অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন কি না তা পরিবারের সদস্যদের থেকে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

ঘটনায় শোক প্রকাশ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। দলীয় কাউন্সিলর হিসাবে বালুরঘাট পুরসভার পূর্ত দফতরের কাজকর্ম দেখতেন দেবজিৎবাবু। তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোকাহত বালুরঘাট পুরসভার কর্মীরাও।