PAC Chairman: PACর চেয়ারম্যান পদে বসছেন আরেক দলবদলু, এবার শিকে ছিঁড়ল সুমন কাঞ্জিলালের ভাগ্যে

ফের রাজ্যের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা PACর চেয়ারম্যান হতে চলেছেন দলবদলু এক বিধায়ক। কৃষ্ণ কল্যাণীর পদত্যগের পর ওই পদে বসতে চলেছেন আলিপুরদুয়ারের দলবদলু বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। বিরোধীদের দাবি, PACর চেয়ারম্যান পদ দলবদলুদের দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে তৃণমূল। প্রশস্ত করছে নিজেদের দুর্নীতির রাস্তা।

PACর চেয়ারম্যান হচ্ছেন সুমন কাঞ্জিলাল

গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন সুমনবাবু। ক্যামক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে উত্তরীয় পরেন তিনি। সেই ছবি ফলাও করে প্রচারও করে তৃণমূল। যদিও বিধানসভায় খাতায় কলমে তিনি এখনও বিজেপি বিধায়ক। সেই সুমনকেই PACর চেয়ারম্যান করতে চলেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রথা মেনে PACর চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় বিরোধী দলের কোনও বরিষ্ঠ বিধায়ককে। কিন্তু বার বার সেই প্রথা ভেঙেছে তৃণমূল, প্রথমে দলবদল করে PACর চেয়ারম্যান হন মানস ভুঁইয়া। তার পর সেই পদে বসেন মুকুল রায়। তিনি পদ ছাড়লে সেখানে বসেন আরেক দলবদলু কৃষ্ণ কল্যাণী। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার আগে আইন বাঁচাতে PACর চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এবার সেই পদে বসতে চলেছেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদানকারী বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।

ইস্তফা দেন কৃষ্ণ কল্যাণী

গত ২৭ মার্চ বিধানসভায় গিয়ে স্পিকারের কাছে PACর চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন রায়গঞ্জের বিঝায়ক। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন কৃষ্ণ কল্যাণী। এর পাঁচ মাসের মাথায় অক্টোবরে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। মুকুল রায় PACর চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিলে কৃষ্ণ কল্যাণীকে খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক বলে দেখিয়ে ২০২২ সালের ২ জুলাই PACর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেন স্পিকার। তার পর থেকে ওই পদে ছিলেন তিনি। এর মধ্যে গত বছর কৃষ্ণ কল্যাণীর রায়গঞ্জের বাড়ি ও কারখানাসহ একাধিক ঠিকানায় আয়কর হানা হয়। তবে তার পর আর তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি আধিকারিকরা।

গত ১০ মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূলের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন তাতে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয় কৃষ্ণ কল্যাণীকে। এর পর তাঁকে আর তৃণমূল বিধায়ক বলে মেনে নেওয়া ছাড়া স্পিকারের সামনে কোনও উপায় ছিল না। নিজেকে ও বিধানসভার স্পিকারকে সেই অস্বস্তি থেকে বাঁচাতে বুধবার PACর চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন তিনি।

এর পর কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘আমি ২ এপ্রিল মনোনয়ন পেশ করব। তার আগে সমস্ত পদে ইস্তফা দিলাম। আমার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে দেবশ্রী চৌধুরী চক্রান্ত করেছিলেন। তার পরেও আমি জিতেছি। উনি চক্রান্ত করেছিলেন বলেই রায়গঞ্জ থেকে আর ভোটে লড়তে পারছেন না।’