Singur Murder: রক্তে ভাসছে গোটা বাড়ি, শ্বশুর ও শ্যালিকাকে খুনের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে

পারিবারিক অশান্তির জেরে শ্বশুর ও শ্যালিকাকে খুন করার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটমা সিঙুরের দলুইগাছা এলাকার। অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কী কারণে খুন তা জানতে ধৃত ও তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

হঠাৎ হামলা

দলুইগাছায় স্ত্রী ডলির সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন অভিযুক্ত পিন্টু মণ্ডল। ওই বাড়িতেই থাকতেন শ্বশুর বিষ্ণদয়াল সাউ (৬০) ও বিনিতা সাউ (৩০)। অভিযোগ, সোমবার রাতে পারিবারিক অশান্তির জেরে প্রথমে ভারী কিছু দিয়ে বিষ্ণুদয়ালবাবুর মাথায় আঘাত করেন পিন্টু। এর পর শ্যালিকা বিনিতার কলায় কোপ বসান তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জনের। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন বিষ্ণুদয়ালবাবুর বড় মেয়ে ডলি। তিনি বিনিতার বন্ধু প্রীতম দেকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। প্রীতম এসে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা বাড়ি। তারই মধ্যে পড়ে রয়েছে ২টি মৃতদের।

খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। গ্রেফতার করে অভিযুক্ত পিন্টু মণ্ডলকে।

ডলি দেবী জানিয়েছেন, বাড়িতে অশান্তি চলছিল। তারই মধ্যে পিন্টু উন্মত্ত অবস্থায় বাবা ও বোনকে আঘাত করে। তবে কী নিয়ে অশান্তি চলছিল তা স্পষ্ট নয়।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে মাঝে মাঝেই অশান্তি হত। চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুনতে পেতেন তাঁরা। তবে অশান্তির কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি তাঁরা।

তৎপর পুলিশ

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেরা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অভিযুক্তের স্ত্রীকেও। সম্পত্তিজনিত বিবাদ, না কি অন্য কিছু তা জানার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগে অপরাধের কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বলে রাখি, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে সিঙুরে ঘটে ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ড। এলাকার অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়ী পরিবারের ৪ সদস্যের দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। নিহতরা ছিলেন, দীনেশ প্যাটেল, তাঁর স্ত্রী অনুসূয়া প্যাটেল, ছেলে ভাবিক ও বাবা মাভজি প্যাটেল। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পরিবারেরই এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। যোগেশ ধাওয়ানি নামে ওই ব্যক্তিকে ঘটনার সকালে ধারাল অস্ত্র হাতে প্যাটেল পরিবারের বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। আততায়ী দীনেশ প্যাটেলের মামাতো ভাই বলে জানায় পুলিশ। সেই ঘটনা এখনও আদালতে বিচারাধীন।