প্যারিসে এমবাপ্পেদের নিস্তব্ধ করে বার্সেলোনার জয়

বক্সের বাইরে থেকে ১১তম মিনিটে মার্কো আসেনসিওর বাঁ পায়ের শট সরাসরি গোলকিপারের হাতে চলে যায়।

পরের মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও উসমান দেম্বেলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন দেন বার্সার ডিফেন্ডাররা।

২০ মিনিটে গোল হজম করতে বসেছিল পিএসজি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল লক্ষ্যে বাড়ান রাফিনহা। গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা বলের নাগাল পাননি। একেবারে শেষ মুহূর্তে নুনো মেন্দেস গোললাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেন।

তিন মিনিট পর আবারও রাফিনহা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার দূরপাল্লার শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ব্যর্থ করেদেন দোনারুম্মা।

২৮ মিনিটে এমবাপ্পের বাড়ানো বল পেয়ে বক্সের ডানদিক থেকে লক্ষ্যে শট নেন লি কাং-ইন। গোলপোস্টের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তা প্রতিহত করেন বার্সা কিপার।

একের পর এক ব্যর্থতা কাটিয়ে ৩৭ মিনিটে গোলমুখ খোলে বার্সা। লামিনে ইয়ামাল বক্সের মধ্যে পাস দেন রবার্ট লেভানডোভস্কিকে। পোল্যান্ড স্ট্রাইকার বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন। দোনারুম্মা ক্লিয়ার করলেও রাফিনহা বল পেয়েই লক্ষ্যভেদ করেন।

বিরতির পর ফিরেই দুই মিনিটের ব্যবধানে দুইবার জাল কাঁপায় পিএসজি। ৪৮ মিনিটে এমবাপ্পে বাইলাইন থেকে বল ফেরত পাঠাতে বাধ্য হন। বল নিয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের রকেট গতির শটে জালে বল জড়ান দেম্বেলে। ক্লাবটির হয়ে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে এটি ছিল তার দ্বিতীয় গোল।

দুই মিনিট পর কাং-ইন বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে ফ্যাবিয়ানকে বল দেন। তার বাড়ানো পাসে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে দৌড়ে গিয়ে বল জালে জড়ান ভিতিনহা। বার্সা কিপার টের স্টেগেন বল ঠেকানোর সময়ই পাননি।

ম্যাচ ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পার হতে দুটি পরিবর্তন আনে বার্সা। পেদ্রি ও জোয়াও ফেলিক্স মাঠে নামেন সার্জি রবার্তো ও ইয়ামালের বদলে। ৬১তম মিনিটের এই পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে শিগগিরই।

মাঠে নামার দ্বিতীয় মিনিটে পেদ্রি বার্সাকে সমতা এনে দিতে অবদান রাখেন। ৩৮ দিন ইনজুরিতে মাঠের বাইরে কাটানো এই তারকা ফিরেই জাদু দেখান। ৬২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে তিনি বল ভাসান বক্সের ভেতরে। রাফিনহা দ্রুত দৌড়ে গিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে স্কোর ২-২ করেন।

আরেক বদলি খেলোয়াড় আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন ৭৬ মিনিটে মাঠে নেমে বাজিমাত করেন। পরের মিনিটে ইকে গুন্ডোগানের কর্নারে সর্বোচ্চ উচ্চতায় লাফিয়ে হেড করে বার্সাকে লিড এনে দেন তিনি। ম্যাচের শেষ দিকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখে পরের লেগে নিষিদ্ধও হতে হয়েছে তাকে।