Diamond Harbour: দলবদল করতে চাপ TMCর, কাজ না হওয়ায় ডায়মন্ড হারবারে BJP নেতার ছেলেকে অপহরণ

ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতগাছিয়ায় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের শিশুপুত্রকে অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করলে তবেই শিশুটিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে। সাতগাছিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য কৌশিক খাঁড়া ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এখানেই শেষ নয়, বিজেপির দাবি, আরও এক বিজেপি নেতাকে ফোনে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, ১০ লক্ষ টাকা না দিলে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ করা হবে।

BJP নেতার ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ

এদিন কৌশিকবাবুকে পাশে বসিয়ে শঙ্কুদেব বলেন, গত ১ এপ্রিল নিখোঁজ হয় কৌশিকবাবুর ছেলে। ওই দিনই নোদাখালি থানায় অভিযোগ জানাতে যান তিনি। কিন্তু পুলিশের তরফে জানানো হয় অভিযোগ নেওয়া যাবে না। অভিযোগ নিতে গেলে জাহাঙ্গির শেখ ও তাঁর অনুগামী বুচানের অনুমতি লাগবে। ৫ দিন পর অবশেষে অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ। কিন্তু তার পরও কোনও পদক্ষেপ করেনি তারা। এর পর পুলিশ সুপারকে অভিযোগ করেন কৌশিকবাবু। তাতেও কোনও ফল হয়নি। শঙ্কুদেবের দাবি, তৃণমূলের তরফে কৌশিকবাবুকে বার্তা দেওয়া হয়। স্ত্রীকে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে বলুন। তাহলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। এ কোন শাহজাহানের বাবারা এসেছে এখানে?

কৌশিকবাবু বলেন, আমাদের তৃণমূল কর্মীদের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যে আমার স্ত্রীকে বুচানের কাছে যেতে হবে। এবং আমাকে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরতে হবে। নাহলে তোমার ছেলে পাবে না। বুচানের সঙ্গে দেখা করলে ১ দিনের মধ্যে ছেলেকে ফেরত পাবো।

বিজেপি নেতার মেয়েকে অপহরণের হুমকি

সাতগাছিয়া তিন নম্বর মণ্ডলের বিজেপি নেতা প্রদীপ সাঁতরা দাবি করেন, কয়েকদিন আগে তাঁর কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ফোন আসে। সেখানে তাঁকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে ও রাজনীতি ছেড়ে দিতে হবে। নইলে তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ করা হবে।

শঙ্কুদেববাবু জানিয়েছেন, কৌশিক খাঁড়ার ছেলের অপহরণের ঘটনায় বুধবারই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। এই মামলায় পার্টি করা হবে নির্বাচন কমিশনকে। শঙ্কুদেবের প্রশ্ন, এ কোন গণতন্ত্র বিরাজ করছে ডায়মন্ড হারবারে? এত কাজ করে থাকলে এই সন্ত্রাস ছড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট করতে হচ্ছে কেন? আর এই পরিবেশেই কি সেখানে ভোট করাতে চায় নির্বাচন কমিশন? তাহলে এত বাহিনী এত আয়োজনের দরকার কী?