Indian Post Office: দক্ষিণ মেরুতে বসে ভারতকে চিঠি লিখবেন বিজ্ঞানীরা! অ্যান্টার্কটিকায় খুলল তৃতীয় ভারতীয় ডাকঘর

ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের যুগে চিঠি লেখা শুধুই ইতিহাস। কিন্তুআজও  বরফে মোড়া অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা মিশনে নিয়োজিত ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বার্তা পাঠাতে চিঠি লেখাতেই বিশ্বাসী। এই চিঠিগুলিকে স্মৃতির অংশ করে তুলতে চান তাঁরা। চিঠির অ্যান্টার্কটিকা পোস্টাল স্ট্যাম্প সহকারে ভারতে আসবে চিঠিগুলো৷ পিনকোড থাকবে গোয়ার। এমনই সমস্ত পরিকল্পনা করে ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশেন রিসার্চের ২৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে অ্যান্টার্কটিকায় ভারতীয় পোস্ট অফিসের একটি নতুন শাখা খোলা হয়েছে। এটি ওই মহাদেশে অবস্থিত ভারতীয় পোস্ট অফিসের তৃতীয় শাখা।

  • অ্যান্টার্কটিকা থেকে কীভাবে চিঠিগুলো পৌঁছোবে পরিবারের কাছে

প্রায় ৫০ জন থেকে ১০০ জন ভারতীয় বিজ্ঞানী জনশূন্য অ্যান্টার্কটিকায় কাজ করছেন। সেই বিজ্ঞানীদের কথায়, আজও হাতে লেখা চিঠির বিকল্প নেই কারণ লেখা কথায় আবেগ থাকে। অ্যান্টার্কটিকা অপারেশনের গ্রুপ ডিরেক্টর, শৈলেন্দ্র সাইনি বলেছেন যে আমাদের বিজ্ঞানীরা সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত, তবুও তাঁরা অক্ষরের মাধ্যমে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে পছন্দ করেন। তাই তাঁরা এই তৃতীয় ডাকঘরের মাধ্যমে বছরে একবার সমস্ত চিঠি সংগ্রহ করে গোয়ার সদর দফতরে পাঠাতে চান। পোস্ট অফিসে গোয়ার ডোনা পাওলার পিনকোড রয়েছে। এই দফতরে চিঠি এসে পৌঁছোলে সেখান থেকে চিঠিগুলো বিজ্ঞানীদের পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।

  • প্রথম শাখাটি বরফে ডুবে গেছে

দক্ষিণ মেরুর এই বরফ মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকার নতুন পোস্ট অফিসের নাম ‘গঙ্গোত্রী’। পিনকোড রাখা হয়েছে ‘এমএইচ ১৭১৮’। সেখানে প্রথম ডাকঘর ‘দক্ষিণ গঙ্গোত্রী’ খোলা হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। এটি ছিল দেশের প্রথম বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। এক বছরে এই পোস্ট অফিসে প্রায় ১০ হাজার চিঠি এসেছে। দক্ষিণ গঙ্গোত্রী ১৯৮৮-৮৯ সালে বরফে ডুবে যাওয়ার পরে ডিকমিশন করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পোস্ট অফিস শাখা ‘মৈত্রী’ ১৯৯০ সালে অ্যান্টার্কটিকাতেই খোলা হয়েছিল।

  • ‘যখনই দেখব স্মৃতিগুলো সবুজ হবে’

সম্প্রতি, মহারাষ্ট্র সার্কেলের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল কে.কে. ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় নতুন পোস্ট অফিসের উদ্বোধন করেছিলেন। এরপরই শর্মা বরফের মহাদেশে গবেষণায় নিয়োজিত ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাছে তাঁদের পরিবার এবং বন্ধুদের চিঠি লেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহও দিয়েছিলেন। কারণ, ই-ফরম্যাটগুলি কিছু সময়ের পরে মুছে গেলেও, চিঠিগুলি সর্বদা অমূল্য স্মৃতিচিহ্ন হয়ে থেকে যায়। অনেক বছর পর চিঠিগুলোর দিকে তাকালে নস্টালজিক লাগে।