Rajnath Singh: ‘মায়ের শেষ যাত্রাতেও থাকতে দেয়নি,’ জরুরী অবস্থায় কারাবাসের কথা মনে করালেন রাজনাথ

জরুরী অবস্থার কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসকে একেবারে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং  বৃহস্পতিবার কার্যত জরুরী অবস্থার সেই কালো দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেন। ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার তাঁকে জেলে ভরে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন রাজনাথ সিং।

তাঁকে ১৮ মাসের জন্য জেল খাটতে হয়েছিল রাজনাথ সিং। যন্ত্রণার সেই দিনগুলো এখনও ভোলেননি তিনি। তিনি জানিয়েছেন, মা যখন অসুস্থ ছিলেন তখন প্যারোলেও ছাড়া হয়নি আমায়। মায়ের শেষ যাত্রাতেও অংশ নিতে দেয়নি ।

সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে মুখ খুলেছেন রাজনাথ সিং। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, যারা জরুরী অবস্থার সময় একনায়কতন্ত্র জারি করেছিলেন, তারাই এখন আমাদের বলছে আমরা নাকি একনায়ক। 

সেই জরুরী অবস্থার দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, জরুরী অবস্থার বিরোধিতা করেছিলাম আমরা। আর সেজন্য আমাদের জেলে ভরা হয়েছিল। আমরা বিক্ষোভ দেখাতাম। আমরা সাধারণ মানুষের মধ্য়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করতাম। কেন জরুরী অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ ও একনায়কতন্ত্রের প্রবণতাকে আরও উসকে দেয় এই জরুরী অবস্থা, সেটাই আমরা সাধারণ মানুষকে বোঝাতাম। 

সেদিনের কথা বলতে গিয়ে রাজনাথ বলেন, আমি তখন সবেমাত্র বিয়ে করেছি। সারা দিন কাজ করে বাড়িতে এসেছিলাম। আমাকে বলা হল যে পুলিশ এসেছিল বাড়িতে। এরপর মাঝরাতে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল। জেলে রাখা হল। একলা থাকতে হত আমাকে। 

তিনি বলেন সেই সময় কোনও বই পড়তে দিত না। একটা পাত্রে ডাল দিত। আর কয়েকটা চাপাটি দিত ওরা। কিছু সময়ের জন্য় জেল চত্বরে যেতে দিত। আমার মনে হয় সহ্যশক্তি বেশি ছিল। সেকারণে আমায় অনেকদিন জেলে আটকে রেখেছিল। তিনি বলেন, মীর্জাপুর জেল থেকে নৈনি সেন্ট্রাল জেলে আনা হয়েছিল। পুলিশও ছিল। মা আমায় দেখতে এসেছিলেন। মা বলছিলেন, যেটাই হোক না কেন ক্ষমা চাইবে না। 

রাজনাথ বলেন, জরুরী অবস্থা আরও একবছর বৃদ্ধি করা হয়েছে এটা শুনে মা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২৭ দিন মাকে হাসপাতালে রাখতে হয়েছিল। পরে মারা যান তিনি। আমি যেতেও পারিনি। প্যারোলেও ছাড়া হয়নি। জেলেই মাথা ন্য়াড়া করি। 

এরপর প্যারোলে কিছুদিন ছাড়া হলেও প্যারোল শেষ হওয়ার আগেই আমায় জেলে চলে আসতে হয়।