Sandeshkhali CBI Email ID: সন্দেশখালি নিয়ে নালিশ জানাতে ইমেল আইডি দিল সিবিআই, লিখে নিন, কাজে লাগতে পারে

সন্দেশখালি তদন্তে এবার নয়া মোড়। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক সন্দেশখালি নিয়ে নালিশ জানানোর জন্য ইমেল আইডি দিল সিবিআই। সেই ইমেল আইডিটি হল, [email protected] এই মেল আইডিতে প্রয়োজনে নালিশ জানানো যাবে। মূলত সন্দেশখালিতে জমি দখল করা, নারী নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে তা জানানো যাবে এই মেল আইডিতে। 

সেই সঙ্গেই আদালতের তরফে বলা হয়েছে বিভিন্ন ভাষায় যে সংবাদপত্রগুলি রয়েছে সেখানে এনিয়ে জানাতে হবে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ যাতে জানতে পারেন সেকারণে এই ইমেল আইডির কথা জানাতে হবে সিবিআইকে। 

সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন ও জমি জবরদখলের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করে তদন্তের যে আর্জি জানানো হয়েছিল, তা গৃহীত হয়নি। রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে আদালতের নজরদারিতে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

 আগামী ২ মে’র সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এদিকে সিবিআই আগেই পোর্টাল খোলার জন্য বলেছিল। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে সিবিআইকে একটি তদন্তের পোর্টাল খুলতে হবে। সেই পোর্টালে যাবতীয় অভিযোগ জানানো যাবে। অর্থাৎ জমিদখলের অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগ, চাষযোগ্য জমিকে পরিবর্তিত করে মাছের ভেড়িতে রূপান্তরিত করার অভিযোগ, জোর করে জমির মালিকানা পরিবর্তনের অভিযোগ জানাতে পারবেন মানুষ।

এদিকে ভোট সামনেই সন্দেশখালি নিয়ে একের পর এক তোপ দাগছেন বিজেপি নেতৃত্ব।  অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ‘মমতা দিদি আপনি তো মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। একটা কথা আমি আপনার কাছে জানতে চাই। সন্দেশখালির মতো লজ্জাজনক ঘটনা নিয়েও আপনি রাজনীতি করছেন? বছরের পর বছর আপনার নাকের তলায় মহিলাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা অত্যাচার করছিল। তাদের ধরতে গেলে ইডির ওপর ইটবৃষ্টি করা হল। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরে আত্মসমর্পণ করল’।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মমতা দিদিকে প্রশ্ন করতে চাই। তোষণের রাজনীতি করে কয়েকটা ভোট পাওয়ার জন্য সন্দেশখালির অপরাধীদের আপনি রক্ষা করছেন? গোটা বাংলার মা – বোনেরা জেনে গিয়েছে যে আপনি সন্দেশখালির অপরাধীদের সঙ্গে রয়েছেন’।

এর পরই তিনি বলেন, ‘মা ও বোনেরা, আমাকে বলুন, সন্দেশখালির অপরাধীদের যার বাঁচায় তাদের কখনও ভোট দেওয়া কি উচিত? কে বাঁচাচ্ছে সন্দেশখালির দোষীদের? তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতানো মানে সন্দেশখালির মতো অত্যাচার করার লাইসেন্স দেওয়া। মোদীজিকে জেতানোর মানে, সোনার বাংলা গঠন’।