Wall collapsed: নির্মিয়মান বাড়ির পাঁচিল ধসে মৃত্যু ২ জনের, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ স্থানীয়দের

পুরনো বাড়ি ভেঙে আবাসন তৈরির সময় পাঁচিল ধসে মৃত্যু হল ২ জনের। বৃহস্পতিবার হুগলির নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। নিহত শ্যামল দাস ও সোনা শীল নামে ২ ব্যক্তি। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

হঠাৎ ধসে পড়ল পাঁচিল

জানা গিয়েছে, নবগ্রামের নবচক্র এলাকায় গত ১৫ দিন ধরে পুরনো বাড়ি ভেঙে ৫ তলা আবাস তৈরির কাজ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে একটি পুরনো পাঁচিল ধসে পড়ে। নীচে চাপা পড়ের শ্যামল দাস ও সোনা শীল। ভবনে কর্মরত শ্রমিকরা এসে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে ২ জনকে উদ্ধার করেন। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে শ্যামলবাবুর। গুরুতর আহত সোনা শীলকে কলকাতায় নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয়। শ্যামলবাবু ওই ভবনের প্রোমোটার দীপক দাসের দাদা বলে জানা গিয়েছে।

বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়ম মেনে পঞ্চায়েত এলাকায় ৫ তলা বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। নির্মাণকাজের জন্য সেখানে বড় বড় গাড়িতে করে সিমেন্ট – বালি – পাথর আনা হচ্ছিল। তাতে রাস্তা ধসে গিয়েছে। গাড়ির আওয়াজে আর কাঁপুনিতে আসেপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের টেকা দায় হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন প্রোমোটার। এসবের প্রতিবাদ করেছিলেন স্থানীয়রা কিন্তু কাজ হয়নি।

বেআইনি নির্মাণে মদত তৃণমূলের?

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েত প্রধান নিজে। তৃণমূলি পঞ্চায়েত প্রধানের নাকের ডগায় নিয়ম ভেঙে পাঁচ তলা বাড়ি তৈরি হলেও কেউ কোনও বাধা দেয়নি। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের নবগ্রাম অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার বলেন, ‘জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়েই বাড়িটি তৈরি হয়েছিল। যে অংশটি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি বাড়ি নয়। পাশের একটি মিটার ঘর। নির্মাণে ত্রুটি থাকার জন্য সেটি ভেঙে পড়ে থাকতে পারে। এজন্য তৃণমূলকে দায়ী করা ঠিক নয়।’

প্রোমোটার দীপক দাস বলেন, ‘ওই পাঁচিলটা একটু নড়বড়ে ছিল। বাঁশ দিয়ে ঠেকা দিতে বলেছিলাম। সেরকম ভাবেই ছিল। আজ সকালে হঠাৎ পাঁচিলটা ভেঙে পড়ে। এটা নিছকই দুর্ঘটনা।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উত্তরপাড়া থানার কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে তারা। মৃতদেহ ২টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তাতে ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি স্থানীয়দের। প্রোমোটারের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে এব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।