Central Force: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘ফাঁকিবাজি’ রুখতে নজরদারি চালাবে নির্বাচন কমিশন

কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে বরাবরই অভিযোগ তুলে আসছেন বিরোধীরা। এনিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নিজস্ব সার্ভিলেন্স টিম কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজরদারি চালাবে। 

আরও পড়ুনঃ রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশ, বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

জানা গিয়েছে, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজরদারি চালাবে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ হল ভোটারদের মন থেকে ভয় দূর করা। কিন্তু, তা না করে কেন্দ্রীয় বাহিনী অনেকেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। কেউ চিড়িয়াখানা আবার কেউ হাজারদুয়ারি ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। বিরোধীদের দাবি, অতীতে এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় থাকছে? তারা কোথায় যাচ্ছে? কোথায় মোতায়েন থাকার কথা? সে সমস্ত বিষয়ে নজরদারি চালাবে কমিশন। 

উল্লেখ্য, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফায় ৩ টি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি হল- আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার। প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়া, কোন কেন্দ্রে প্রথম দফায় কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ে থাকবে তার বিন্যাসও সেরে ফেলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। 

এই তিন কেন্দ্রে মোট ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, জলপাইগুড়িতে ৮৮ কোম্পানি এবং কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এর পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যক রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে। 

এরমধ্যে, আলিপুরদুয়ারে ইনসপেক্টর পদমর্যাদার ২২ জন অফিসার, ৩০৩ জন এসআই বা এএসআই এবং ১৪২ জন মহিলা কনস্টেবল মোতায়েন থাকবেন। এছাড়াও থাকছে কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)। তাতে ১৯ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। অন্যাদিকে, স্ট্রং রুমে মোতায়েন থাকবে ৩ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী। 

কোচবিহারে ইনসপেক্টর পদের ৪০ জন, পদমর্যাদার ৫১৯ জন এসআই বা এএসআই এবং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর ১,১১৬ জন বাহিনী থাকবে। কিউআরটিতে ২৭ সেকশন সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার জন্য থাকবে ৩ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী। 

অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও রাজ্য পুলিশের ইনসপেক্টর পদের ২৭ জন আধিকারিক মোতায়েন থাকবেন। এসআই বা এসআই পদমর্যাদার ৩৯৮ জন, ১৭৮ জন মহিলা কনস্টেবল এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৮৭২ জন মোতায়েন থাকবেন। কিউআরটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে ২২ সেকশন এবং স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায় থাকবে ৬ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী।