Centre on Bournvita:চিন্তা বাড়াচ্ছে চিনির মাত্রা! বর্নভিটাকে ‘হেল্থ ড্রিঙ্কস’ ক্যাটাগরি থেকে সরানোর নির্দেশ কেন্দ্রের

এক বড় নির্দেশে বর্নভিটাকে ‘হেল্থ ড্রিঙ্কস’ ক্যাটাগরি থেকে সরানোর জন্য সমস্ত ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সংস্থাগুলির পোর্টালে বর্নভিটাকে যাতে ‘হেল্থ ড্রিঙ্কস’ বিভাগে না রাখা হয়, তার জন্য এসেছে কেন্দ্রীয় নির্দেশ। প্রশ্ন উঠতেই পারে, কেন কেন্দ্র এমন পদক্ষেপ করল? বহু আগেই, বর্নভিটায় চিনির মাত্রা নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ দেখা দিয়েছিল। এরপর ‘ন্যাশনাল কমিশন অফ প্রোটেকশন ফর চাইল্ড রাইটস’ এর তরফে এক তদন্ত হয়। সেই তদন্তে দেখা যায়, বর্নভিটায় চিনির মাত্রা নির্দিষ্ট মাপদণ্ডের গ্রহণযোগ্য স্তরেরও বেশি। এরপরই কেন্দ্র নিল পদক্ষেপ।

‘ন্যাশনাল কমিশন অফ প্রোটেকশন ফর চাইল্ড রাইটস’ সিআরপিসি অ্যাক্ট ২০০৫ এর সেকশন ১৪ এর আওতায় এক তদন্ত চালায়। সেই তদন্তে দেখা গিয়েছে, বর্নভিটায় মাত্রারিক্ত চিনি রয়েছে। নির্দিষ্ট মাপদণ্ডে যে পরিমাণ চিনি গ্রহণযোগ্য, তার থেকেও বেশি চিনি পাওয়া গিয়েছে বর্নভিটায়। এর আগে, ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’কে ‘ন্যাশনাল কমিশন অফ প্রোটেকশন ফর চাইল্ড রাইটস’ তরফে পদক্ষেপ করতে বলা হয় সেই সমস্ত সংস্থার বিরুদ্ধে, যারা হেল্থ ড্রিঙ্কস-এ নিয়ম ভেঙে পাওয়ার সাপ্লিমেন্ট দিচ্ছে। উল্লেখ্য, নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে, দেশের খাদ্য আইনে ‘হেলথ ড্রিংক’ সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। এদিকে, বর্নভিটাকে ঘিরে এই চিনির মাত্রা সংক্রান্ত বিষয়টির উদ্বেগ সবচেয়ে প্রথম তুলে ধরেছিলেন এক ইউটিউবার। তাঁর দাবি, হেল্থ ড্রিঙ্কস-এর আওতায় থাকা এই বর্নভিটায় মাত্রারিক্ত রয়েছে চিনি। এছাড়াও অভিযোগ ছিল এই ড্রিঙ্কে রয়েছে বাড়তি কোকো, ক্ষতিকারক রঙ।

( Sydney mall attack latest:সিডনির শপিং মলে ছুরি নিয়ে ভয়াবহ হামলা, PM অ্যালবানিজ জানালেন ‘হতাহত বহু’, নিহত অন্তত ৬)

উল্লেখ্য, শুধু বর্নভিটা নয়। বর্নভিটা সহ একাধিক পানীয়কে আর হেল্থ ড্রিঙ্কের তকমায় রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করে ই কমার্স সংস্থাগুলিতে অবহিত করেছে তারা। এই বিবৃতি এসেছে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তরফে।

উল্লেখ্য, কোনও জিনিসই মাত্রারিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। বেশ কিছু গবেষণায় চিনি বেশি খাওয়ার খারাপ দিককে তুলে ধরা হয়েছে। রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা প্রতিটি রক্তনালীতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রক্তে উচ্চ শর্করা থাকলে ঝাপসা দৃষ্টি, গ্লুকোমা, রেটিনোপ্যাথির মতো সমস্যা দেখা যায়। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বহু ব্যক্তির মধ্যেই চোখের সমস্যা দেখা যায়।