Kashi Viswanath Mandir: গেরুয়া পরে কাশীর মন্দিরে পাহারা পুলিশের, খাঁকি উর্দি কোথায় গেল? বিতর্ক তুঙ্গে

পুলিশ মানেই সাধারণ মানুষ খাঁকি উর্দি দেখেই অভ্য়স্ত। তবে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের ক্ষেত্রে এবার ব্যাপারটা একেবারেই অন্য়রকম। বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে এবার পুরোহিতদের পরতে হচ্ছে একেবারে পুরোহিতদের পোশাক। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। কপালে তিলক। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। 

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী অখিলেশ যাদবও এনিয়ে মুখ খুলেছেন। এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। তিনি সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখেছেন, পুলিশের কোন নিয়মাবলীতে এমন পূজারির পোশাক পরতে বলা হয়েছে পুলিশকর্মীদের। কার নির্দেশে এই ঘটনা হল? এই ধরনের নির্দেশ যারা দিয়েছেন তাদের অবিলম্বে বরখাস্ত করা হোক। আগামী দিনে কোনও অপরাধী যদি এই ধরনের পোশাক পরে সাধারণ মানুষকে ঠকায় তবে তার জবাব কি সরকার দিতে পারবে? এনিয়ে নিন্দা করেছেন তিনি। 

এদিকে বারাণসী পুলিশের দাবি, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে বারাণসীর মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তরা আসেন। তাঁদের সামলানোটা একটা বড় ব্যাপার। সেকারণেই ভক্তদের সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্যত মন্দিরের পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই পোশাক বদলের ব্যবস্থা। 

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পুলিশের পোশাক ছেড়ে পুরোহিতের পোশাক পরলে সেক্ষেত্রে ভক্তরা বুঝবেন কীভাবে কে পুলিশ আর কে পুরোহিত? সাধারণত দেখা যায় যে কোথাও পুলিশ থাকলে মানুষ আইন মেনে চলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভক্তরা যদি বুঝতেই না পারেন যে কোথায় পুলিশ রয়েছেন সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে তাঁদেরও। এর জেরে কতটা শৃঙ্খলা বজায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যায়। 

তবে পুরোহিতের পোশাক পরলে অবশ্য় একটা সুবিধে আছে। এক্ষেত্রে আলাদা করে আর সাদা পোশাকে থাকতে হবে না। কারোর উপর নজরদারি চালানো আরও সুবিধার হবে। সেকারণে এই ধরনের পোশাক কার্যকরীও হতে পারে। তবে এই পোশাক কতটা সুফল আনবে তা আগামী দিনেই জানা যাবে। 

বারাণসীর পুলিশ কমিশনার মোহিত আগরওয়াল সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, মন্দিরের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের ভক্তদের সামলাতে হয়। দূর দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। মন্দির চত্বরে পুলিশি ব্যবস্থা অন্যরকম হওয়া দরকার। এই ব্যবস্থা মন্দিরের পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হওয়া দরকার। 

তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এভাবে পুলিশের উর্দি ছেড়ে কপালে তিলক পরে, গেরুয়া ধুতি পাঞ্জাবি পরে পুলিশের কাজ করা কতটা যুক্তিসংগত তা নিয়ে বিতর্কটা থেকেই গিয়েছে।