মোস্তাফিজের খরুচে বোলিং ছাপিয়ে চেন্নাইয়ের জয়

সাবেক ক্লাব মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মাঠে ফিরে ছন্নছাড়া বোলিং করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে আগেই ব্যাটিং করে জয়ের ভিত গড়ে রেখেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। মুম্বাই ২০৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ব্যর্থ। ২০ রানে জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩.৭৫ ইকোনমি রেট মোস্তাফিজের। চার ওভারে ৫৫ রান দিয়েছেন তিনি। নিয়েছেন কেবল টিম ডেভিডের উইকেট। 

লক্ষ্যে নেমে কিন্তু শুরুটা ভালো হয়েছিল মুম্বাইয়ের। ৭ ওভারেই কোনও উইকেট না হারিয়ে ৭০ রান তুলে ফেলে তারা। মাথিশা পাথিরানা অষ্টম ওভারে জোড়া আঘাত হানলে খেই হারায় মুম্বাই। ইশান কিষাণ (২৩) ও আগের ম্যাচে প্রশংসা কুড়ানো ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব (০) তার শিকার হন। ডিপ থার্ড বাউন্ডারিতে চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নেন মোস্তাফিজ। বাউন্ডারির সামনে দুই হাতে বল ধরলেও ভারসাম্য হারাতে বসলে বল উপরের দিকে ছুঁড়ে মারেন। বাউন্ডারির ওপর থেকে লাফিয়ে আবার বল লুফে নেন বাংলাদেশি ক্রিকেটার।

এই ধাক্কার পর একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের গতি বাড়ান রোহিত শর্মা। তিলক ভার্মা (৩১) তার সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ে পাথিরানার শিকার হন। এই জুটি ভাঙতেই আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি মুম্বাই। রোহিত একার লড়াইয়ে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন। ৬৩ বলে ১১ চার ও ৫ ছয়ে ১০৫ রান করেন মুম্বাই ওপেনার। ৬ উইকেটে ১৮৬ রান করে তার দল।

পাথিরানা সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন।

আগে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিবম দুবের ৯০ রানের জুটিতে বড় স্কোরের আভাস দিয়েছিল। তাই বলে দুইশ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি ছিল না। ডেথ ওভারে বাজে বোলিংয়ে রান দেয় মুম্বাই। শেষ ৫ ওভারে ৫৭ রান করে চেন্নাই।

মূলত মহেন্দ্র সিং ধোনি শেষ ওভারে তিন ছক্কায় স্কোর দুইশ পার করেন। তার আগে গায়কোয়াড় সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন। ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন দুবে। ধোনি ৪ বলে ২০ রান করে টিকে ছিলেন। ৪ উইকেট হারায় দলটি।