BJP protest: ‘গদ্দারের জায়গা’ মন্তব্যের প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ, TMC অফিসে তালা BJP-র

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরকে ‘গদ্দারের জায়গা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। এছাড়াও, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে গেরুয়া শিবির। একইসঙ্গে তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। রবিবার সকাল থেকে নদীগামের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। তাদের দাবি, এই মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে।

আরও পড়ুন: BJP কার্যালয়ে ভাঙচুর, ব্যানার-ফেস্টুনে আগুন – জলপাইগুড়িতে ছড়াল প্রার্থী ক্ষোভ

জানা গিয়েছে , নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিরুলিয়া বাজারে অবস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে জোর করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তালা লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের গেটের সামনে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেন দলের কর্মী সমর্থকরা। সেখানে তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। তাদের বক্তব্য, একজন মুখ্যমন্ত্রী এরকম মন্তব্য করা উচিত হয়নি।

বিজেপির বক্তব্য, এই পূর্ব মেদিনীপুর থেকে অনেক প্রতিবাদের মুখ উঠে এসেছে। গোটা ভারত বর্ষ পূর্ব মেদিনীপুরকে শ্রদ্ধা করে। তাই পূর্ব মেদিনীপুরকে গদ্দারের জায়গা বলে মুখ্যমন্ত্রী অন্যায় করেছেন। গোটা জেলাবাসীকে অসম্মান করেছেন। অবিলম্বে এই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে তাঁকে। যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি মন্তব্য প্রত্যাহার করবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত বিজেপির বিক্ষোভ চলবে। তাদের হুঁশিয়ারি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা লাগানো হয়েছে। আগামী দিনে তাদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীকে প্রায়ই গদ্দার বলে আক্রমণ করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা। বেঙ্গালুরুর কাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরা পড়ে। তারপরেই অধিকারী পরিবারের দিকে আঙুল তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ওই দু’জন ধরা পড়েছে ‘গদ্দারদের জায়গা’ থেকে। এই মন্তব্যকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী নিজেও এই মন্তব্যের নিন্দা করেছিলেন। আর এবার নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি যে গণতন্ত্র রাখতে চাইছে না আরও একবার তা প্রমাণ হয়ে গেল।