Debangshu Bhattacharya: নন্দীগ্রামে পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করে কুইক রেসপন্স টিম গঠনের ঘোষণা দেবাংশুর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গদ্দারের জায়গা’ মন্তব্যের প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। সেই খবর পেয়েই নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিরুলিয়া বাজারে ছুটে যান তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। তারপরেই দেবাংশু এবং তাঁর অনুগামীরা তালা ভেঙে দলীয় কার্যালয় পুনরুদ্ধার করেন। তালা লাগানোর ঘটনায় থানায় বিজেপি নেতা প্রলয় পাল সহ ৫ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনা রুখতে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের কুইক রেসপন্স টিম গঠন করার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘গদ্দারের জায়গা’ মন্তব্যের প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ, TMC অফিসে তালা BJP-র

তৃণমূলের অভিযোগ, আজ রবিবার সকালে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুলিয়া বাজারে অবস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের ওই কার্যালয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তালা লাগিয়ে দেন। শুধু তাই নয় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের গেটের সামনে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেন দলের কর্মী সমর্থকরা। সেখানে তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। তাদের বক্তব্য, একজন মুখ্যমন্ত্রী এরকম মন্তব্য করা উচিত হয়নি।

এরপর খবর পৌঁছয় দেবাংশুর কাছে। পার্টি অফিস পুনরুদ্ধারের একটি ভিডিয়ো নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। তাতে দেখা যায়, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তিনি হাতুড়ি দিয়ে সেই তালা ভাঙেন। এরপর পার্টি অফিসে লাগানো বিজেপির পতাকা খুলে দেওয়া হয়। পার্টি অফিসের দখল নেওয়ার পর বিজেপি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন দেবাংশু।

 তিনি অভিযোগ করেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শে বিজেপির গুন্ডা বাহিনী তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে নিজেদের ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে।’ এরপরেই তিনি কুইক রেসপন্স টিমের ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে আমরা একটা কুইক রেসপন্স টিম বানাবো। কতটা সন্ত্রাস ওরা করে তা দেখব। এই টিমে ৫০০ ছেলেমেয়ে থাকবে। ভোটের দু’মাস নন্দীগ্রামের যে প্রান্তে আমাদের কোনও পার্টি অফিস বা কর্মীদের উপর হামলা হবে ১৫ মিনিটের মধ্যে সেই টিমের সদস্যরা সেখানে পৌঁছাবেন।’

এরপরে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল যদি চায় তাহলে আজকে গোটা মিছিল নিয়ে বিজেপির পার্টি অফিসের দিকে যেতে পারত। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নির্দেশ দেয়নি। তাই আমাদের সৌজন্যতাকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করে।’ একইসঙ্গে তিনি এদিন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান। গ্রেফতার না হলে সে ক্ষেত্রে গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে তৃণমূল আন্দোলন করবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এমনকী প্রয়োজনে বিজেপির প্রতিটা পার্টি অফিসের বাইরে তৃণমূল বিক্ষোভ করবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।