Historic Hindu Temple: পাকিস্তানে ভেঙে ফেলা হল ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির, তৈরি হচ্ছে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স

হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে অবস্থিত ওই ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির। জানা গিয়েছে, এই মন্দিরের জায়গায় একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। দেশভাগের সময় মন্দিরের পাশে ওই বসবাসকারী বাসিন্দারা ভারতে চলে এসেছিল। এর ফলে, বছরের পর বছর ধরে সঠিক পরিচর্যার অভাবে এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে ওই ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরটি আর না রেখে, তা ভেঙে গত কয়েকদিন ধরে একটি কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর।

যদিও বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের কর্মকর্তারা হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেছেন। লেন্ডি কোটালের বিশিষ্ট আদিবাসী সাংবাদিক ইব্রাহিম শিনওয়ারি দাবি করেছেন যে ঐতিহাসিক মন্দিরটি মূল লেন্ডি কোটাল বাজারের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ছিল, যা স্থানীয় হিন্দুদের প্রতিবাদের পর ১৯৪৭ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর এখানকার পরিবারগুলো ভারতে চলে এসেছিল। তারপর ১৯৯২ সালে ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর, কিছু আলেম ও সেমিনারিয়ানদের কারণে মন্দিরটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই লেন্ডি কোটালে ‘খাইবার মন্দির’ নামে একটি মন্দির ছিল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

পাকিস্তান হিন্দু মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটির হারুন সর্বদিয়াল জোর দিয়েছিলেন যে যাঁরা মুসলিম নন, তাঁদের ধর্মীয় গুরুত্বের দিকে তাকিয়ে এই ঐতিহাসিক ভবনগুলির সুরক্ষা এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত করা ছিল জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের দায়িত্ব। তাঁর দাবি, প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর বিভাগ, পুলিশ, সংস্কৃতি বিভাগ এবং স্থানীয় সরকারের ২০১৬ সালের পুরাকীর্তি আইন দ্বারা উপাসনালয় সহ এই ধরনের স্থানগুলিকে রক্ষা করার কথা ছিল। সরবদিয়াল পরামর্শ দিয়েছিলেন যে যে জায়গাগুলি হয় সংখ্যালঘুদের দ্বারা ব্যবহৃত হয় না বা জরাজীর্ণ সেগুলিকে ভেঙে ফেলার পরিবর্তে সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। ডন পত্রিকার সহকারি কমিশনার ল্যান্ডি কোটাল, মুহাম্মদ ইরশাদকে উদ্ধৃত করে, মন্দিরটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, খাইবার উপজাতীয় জেলার সরকারি জমি রেকর্ডে মন্দিরের কোনও উল্লেখ নেই। ল্যান্ডি কোটাল বাজারের পুরো জমিই ছিল রাজ্যেই অধীনে। মন্দিরের জায়গায় নির্মাণ কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নন তিনি।

প্রসঙ্গত, ওই আধিকারিক জানান, লেন্ডি কোটাল বাজারে কিছু পুরনো দোকান সংস্কার ও মেরামতের জন্য নির্মাতাকে ‘অনাপত্তি সনদ’ দেওয়া হয়েছিল। এরপর পৌর কর্তৃপক্ষ উপজাতীয় জেলার সমস্ত বাণিজ্য কেন্দ্রে বাণিজ্যিক ভবন বা দোকান তৈরির অনুমতি দিয়েছে।