Iran Attacks Israel: ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে দিল ইরান, ভোর হতে না হতেই শোনা গেল পরপর বিস্ফোরণ

আশঙ্কা ছিলই। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই রবিবার ভোর হতে না হতেই ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে দিল ইরান। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইজরায়েলে একাধিক মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভোররাত থেকেই তাদের দেশে শতাধিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে ইরান। এই আবহে জর্ডান, ব্রিটিশ এবং মার্কিন বাহিনী সাহায্য করছে ইজরায়েলকে। এই তিন দেশের বাহিনী নাকি ইরানের একাধিক ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল ডামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই কারণেই ইরানের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। প্রসঙ্গত, ডামস্কাসের হামলায় ইরানের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। মৃতদের মধ্যে ইরানের এক জেনারেল ছিলেন। এদিকে সেই হামলার দায় স্বীকার বা অস্বীকার, কোনওটাই করেনি ইজরায়েল। এই আবহে ইজরায়েলকেই ‘দোষী সাব্যস্ত করে’ হামলার তোড়জোড় শুরু করেছিল ইরান। রাষ্ট্রসংঘে এই নিয়ে আলোচনার সময়, ‘আমেরিকাকে দূরে থাকতে’ বলেছিল ইরান। অবশ্য ইজরায়েলের সাহায্যে ব্রিটিশ এবং মার্কিন রণতরী ইরাক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে সাগরে মোতায়েন রয়েছে। ইরান থেকে ইজরায়েলের দিকে উড়ে যাওয়া ড্রোন এবং মিসাইলকে গুলি মেরে নামাচ্ছে সেই রণতরীগুলি।

এদিকে ইরান হামলা চালাচেই ইজরায়েলের রাজধানী তেল অভভিভে যুদ্ধকালীন ক্যাবিনেটের বৈঠক তলব করেছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাইজ থেকে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলেছেন। এই আবহে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ইরান যে তাদের ওপর সরাসরি হামলা চালাবে, তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন তাঁরা। তাই এই হামলা প্রতিহ তকরতে তাঁরা পুরোপুরি প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন নেতানিয়াহু।

প্রসঙ্গত, গাজার যুদ্ধের জেরে এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। এর মধ্যে ইরান সরাসরি ইজরায়েলে হামলা চলানোয় আরও বৃহত্তর আকারে যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে এই সবের মাঝে মার্কিন, ব্রিটিশ নৌবাহিনীও ইজরায়েলকে সাহায্য করতে লোহিত সাগর অঞ্চলে রয়েছে। এদিকে ইরানের হামলার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। এছাড়া জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে এই বিশ্ব আরও একটা যুদ্ধের দাম চুকোতে পারবে না।’ এই আবহে ইরান ও ইজরায়েলকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান তিনি।