Suvendu Adhikari on state day: ‘রাকেশ রোশন যেমন …’, পয়লা বৈশাখে রাজ্য দিবস পালন নিয়ে ফের কটাক্ষ শুভেন্দুর

রাজ্যে প্রথমবার পয়লা বৈশাখের দিন পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস। নির্বাচনী আচারণ বিধি জারি থাকায় অনুষ্ঠানে সরকারি আধিকারিকরাই হাজির ছিলেন। পয়লা বৈশাখের দিন পশ্চিমবঙ্গ দিন পালন নিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এর আগে যখন পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে হবে তা নিয়ে আলোচনার সময় ২০ জুন পালনের প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ওই দিনটি যেহেতু দেশভাগের জন্য দিন,তাই ওর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানুষের বেদনার ইতিহাস। এই যুক্তিতেই ২০ জুনকে বাতিল করা হয়। আলোচনার মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় পয়লা বৈশাখ দিনটিকেই। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দিনটির বিরোধিতা করা হয়।

সেই বিরোধিতায় আবারও তুলে ধরলেন শুভেন্দু, ‘ইতিহাসকে বিকৃত করা যায় না। রাকেশ রোশন যেমন চাঁদের যাননি, ১৫০০ কেজির বাচ্চা যেমন জন্মগ্রহণ করে না, তেমনই ২০ জুন ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আমাদের ভারত-ভুক্তির পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’ ওই দিনটাকেই আবারও তিনি পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালনে কথা বলেন। 

আরও পড়ুন। রাঁচিতে জঙ্গি স্লিপার সেল, সেখানেই মিলেছিল আশ্রয়? ফোন নিয়ে বড় ছক ছিল চাঁদনিতে

কী বলল সিপিএ

যদি বিজেপির সঙ্গে একমত নয় বামেরা।  সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বলেন, ‘বিজেপি যেটা বলছে সেটা ঠিক নয়। ওটা পশ্চিমবঙ্গ দিবস নয়, ওটা বাংলা বিভাজনের সিদ্ধান্তের দিবস। ওটা বাংলার দুর্গতির দিবস। তাতে আনন্দ পাচ্ছে বিজেপি, প্রতিষ্ঠা দিবস বলছে। আর তৃণমূলকেও বলিহারি আজ পশ্চিমবঙ্গের যে মানচিত্র, সেটা তৈরি হয়েছিল ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর। সেই ১ নভেম্বরকে দিবস করলে তাও মানে বুঝতাম।’

রাজ্য দিবসে ঠিক করার জন্য বিভিন্ন বিদ্বজন ও রাজনৈতিক দলগুলির কাছে প্রস্তাব চেয়ে পাঠানো হয়। কেউ পয়লা বৈশাখকে পশ্চিমবঙ্গে দিবস পালনের কথা বলেন। কেউ অন্য দিবসে করার প্রস্তাব দেন। বিজেপির তরফ থেকে ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দক্রমে পয়লা বৈশাখকেই বেছে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন। ১৯-এ জেতা ১০ আসনে লড়াই কঠিন, অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় চিন্তার রেখা BJP-র কপালে

লোকসভা নির্বাচন জারি হয়ে যাওয়ায় আদর্শ আচারণ বিধি চলছে। সে কারণে, রবিবারের অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই উপস্থিত হতে পারেননি। তবে সরকারি আধিকরিকদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান পালন হয়েছে। গাওয়া হয়েছে রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল।’