Alternate Ferry service route: হাওড়া মেট্রো চালু হতেই যাত্রী কমেছে নদী জলপথে, বিকল্প রুটে ফেরি পরিষেবার ভাবনা

গত ৬ মার্চ গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু কয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ১৫ মার্চ যাত্রী সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল এই মেট্রো পরিষেবা। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই মেট্রো পরিষেবার জন্য অনেকদিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলেন বহু মানুষ। ফলে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো চালু হতেই সেখানে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে যাত্রীদের। এর ফলে হাওড়া-ধর্মতলা রুটে যেমন বাসগুলিতে যাত্রীদের সংখ্যা কমেছে তেমনি হুগলি নদী জলপথে ফেরি পরিষেবাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই অবস্থায় বিকল্প রুট চালু করার কথা ভাবনা চিন্তা করছেন জলপথ পরিবহণের কর্তারা। 

আরও পড়ুন: ফের চালু বাউড়িয়া-বজবজ ফেরি পরিষেবা, খুশি যাত্রীরা, বানের জলে ভেসে গিয়েছিল জেটি

মূলত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে হাওড়া-বাবুঘাট, হাওড়া-ফেয়ারলি প্লেসের মতো রুটে ফেরি পরিষেবা ব্যাপক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। নদীপথে এই রুটে যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় বিকল্প রুটে পরিষেবা চালু করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন আধিকারিকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও রকমের সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি আলোচনার প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, অল্প সময়ের মধ্যে যানজট এড়িয়ে ধর্মতলা বা হাওড়া পৌঁছতে মেট্রোকে বেছে নিচ্ছেন যাত্রীরা। ফলে প্রতিদিন এই মেট্রোয় হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করছেন। তাতে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য গণপরিবহণ লোকসানের মুখে পড়েছে।

পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতিদিন এই সমস্ত রুটে ফেরি পরিষেবায় গড়ে টিকিট বিক্রি প্রায় ৩০ হাজার টাকা কমে গিয়েছে। হাওড়া রুটে মেট্রো চালু হওয়ার আগে অবধি বছরের পর বছর প্রচুর অফিস যাত্রী এবং সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াতের জন্য ফেরি পরিষেবাকে বেছে নিতেন। তবে এখন তাদের অধিকাংশই মেট্রোকে বেছে নিচ্ছেন। ফলে নদী পরিবহণে যাত্রী সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে পড়বে ফেরি পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন আধিকারিকরা।  এই অবস্থায় হাওড়-কলকাতার মধ্যে লঞ্চ পরিষেবাকে বাঁচিয়ে রাখতে নতুন রুটের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।

সমবায় সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত কলকাতা থেকে হাওড়া এবং হাওড়া থেকে কলকাতা এই দুটি রুটের বিকল্প নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। সে ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করা হবে। তাদের অনুমতি মিললে তবেই সেই রুট তৈরি করা সম্ভব।

তবে প্রাথমিকভাবে শোনা যাচ্ছে, কাশীপুর থেকে হাওড়া পর্যন্ত লঞ্চ চালানোর প্রস্তাব এসেছে। এছাড়া জি টি রোডে যানজট বাড়ছে। ফলে বালি থেকে হাওড়া স্টেশনে আসতে প্রচুর সময় লাগে। সেখান থেকে হাওড়া পর্যন্ত লঞ্চ পরিষেবা চালানো যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।