Shootout in Delhi: দিল্লির রাস্তায় একের পর এক চলল গুলি, পুলিশের ASI-কে খুন করে আত্মঘাতী বন্দুকধারী

ভয়ঙ্কর কাণ্ড। দিল্লির রাস্তায় একের পর এক গুলি চালাল ব্যক্তি। তাতে নিহত হলেন দিল্লি পুলিশের এক অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টর। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও একজন। শেষে আত্মহত্যা করল ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির নন্দ নাগরী এলাকায়। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য  এলাকায়।

আরও পড়ুন: ভর দুপুরে গড়িয়ায় গুলি, ব্যাগ ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের, গ্রেফতার ১

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত এএসআইয়ের নাম দীনেশ শর্মা। তিনি দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন।আজ মঙ্গলবার সকাল ১১:৪০ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। মীত নগর ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলেন দীনেশ। সেই সময় আচমকা তাঁর দিকে একটি গুলি উড়ে আসে। অন্যদিকে, অমিত কুমার নামে আরও এক যুবক স্কুটারে যাচ্ছিলেন। তারও গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই নিহত হন দীনেশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মুকেশ। দুজনকে গুলি করার পর মুকেশ একটি অটোতে চেপে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়। কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (উত্তরপূর্ব) জয় টির্কি।

পুলিশ জানিয়েছে, মুকেশ উত্তর-পূর্ব দিল্লির নন্দ নগরী এলাকার বাসিন্দা। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, মুকেশ প্রথমে দীনেশকে গুলি করে এবং তারপর অমিত কুমারকে গুলি করে। দীনেশের বুকে গুলি লাগে। অন্যদিকে পায়ে গুলি লাগে অমিতের।এরপর মুকেশ একটি অটোতে চেপে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে, অটো চালক রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত মুকেশ তাকে লক্ষ্য করেও গুলি চালায়। কিন্তু, গুলি লাগেনি অটো চালকের। তিনি কোনওভাবে ঘটনাস্থল পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

এদিকে, এই ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমতে শুরু করে। তখন নিজেকে গুলি করে হত্যা করে মুকেশ। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই অটোর পিছনের সিট থেকে একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ফ্লাইওভারের ৩ প্রান্তে গুলি চলে। বিভিন্ন জায়গা থেকে গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে।

এদিকে, মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, আহতকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ডেপুটি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,  ‘আমরা জ্যোতি নগর থানায় এই ঘটনায় হত্যা, খুনের চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনে মামলা নথিভুক্ত করেছি এবং এই বিষয়ে আরও তদন্ত শুরু করেছি।’ কেন ওই ব্যক্তি এমন কাণ্ড করল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।