লেবাননে এক হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

লেবাননে হামলা চালিয়ে ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ-এর এক কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে গোষ্ঠীটির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর গোলা বিনিময় হয়। হিজবুল্লাহ’র ড্রোন হামলার জবাবে বিমান হামলা চালিয়ে এই কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় তিন ব্যক্তি সামান্য আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, উত্তরাঞ্চলীয় বেইত হিলেল এলাকায় বিস্ফোরকবাহী দুটি ড্রোন আঘাত হেনেছে।

হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ওই এলাকায় আয়রন ডোম ব্যাটারিকে নিশানা করেছিল। এর আগে গোষ্ঠীটি এমন দাবি করেছিল। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, হামলার সময় কেন সাইরেন বাজেনি তা তদন্ত করা হচ্ছে।

ড্রোন হামলার পর লেবাননের সংবাদমাধ্যম উল্লেখ করেছে, ইসরায়েল সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে আইন বাল শহরে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পরে নিশ্চিত করেছে বিমান হামলার কথা। তারা বলেছে, হিজবুল্লাহ’র উপকূলীয় এলাকার এক কমান্ডারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত কমান্ডারের নাম ইসমাইল ইউসেফ বাজ। তিনি একজন ব্রিগেডিয়ার কমান্ডারের পদমর্যাদার এবং হিজবুল্লাহর সামরিক শাখার সিনিয়র ও প্রবীণ কর্মকর্তা।

হিজবুল্লাহও ইউসেফ বাজ নিহতের কথা নিশ্চিত করেছে। তবে তাকে কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।

৮ অক্টোবর থেকে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে গোলা বিনিময় করে আসছে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিয়মিত রকেট হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি। ইসরায়েলও লেবাননে গোষ্ঠীটির অবস্থানে পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে।

ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে প্রায় ২৭০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ৫০ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ লেবাননে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। অপর দিকে, তাদের হামলায় ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে প্রায় ৬০ হাজার বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়েছেন। হিজবুল্লাহর হামলায় ১৮জন সেনা ও বেসামরিক নিহত হয়েছেন।