Ram Navami Procession: রামনবমীর মিছিলে বিজেপি প্রার্থীকে বাধা পুলিশের, রাস্তায় বসে বিক্ষোভ কর্মীদের

আজ রামনবমী। এই উপলক্ষে জেলায় জেলায় মিছিল করছেন বিজেপি থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা। সেরকমই রামনবমীর শোভাযাত্রায় বেরিয়ে ছিলেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর। তবে তাঁর সেই মিছিল আটকে দিল পুলিশ। এর প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পথ অবরোধ করলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এদিন পুলিশ প্রশাসনের বাধা দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী। ঘটনাটি বীরভূমের মুরারইয়ে ঘটেছে।

আরও পড়ুনঃ ‘দুর্গাপুজোয় তো অস্ত্র থাকে’, রামনবমীতে তলোয়ার মিছিল নিয়ে বলল BJP, গেরুয়া হল TMC

জানা গিয়েছে, আজ বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী দেবাশিস ধর প্রথমে বীরভূমের নলহাটিতে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি মুরারইয়ে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য যান। কিন্তু মুরারই ঢোকার আগেই ভাদীশ্বর বাস স্ট্যান্ডের কাছে বিজেপি প্রার্থীকে পুলিশ এবং বিডিও আটকে দেন। বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের অভিযোগ, মুরারই থানার ওসি সাকিব সাহাব ও মুরারই -১  বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী তাঁকে বাধা দেন। তাদের ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা সেখানে রাস্তায় বসে পড়ে পথ অবরোধ করেন। 

বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, পুলিশ এবং বিডিওর কাছে তিনি বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার সদুত্তর তাঁরা দিতে পারেননি। পুলিশের দাবি, নির্বাচনে বিধি অনুযায়ী তাঁকে আটকানো হয়েছে। যদিও ভারতীয় সংবিধানে এই ধরনের কোনও নিয়ম নেই বলেই দাবি করেছেন বিজেপি প্রার্থী। এ নিয়ে তৃণমূলকেই দুষেছেন তিনি। বিষয়টি জানিয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।

দেবাশিস বাবু জানান, ‘আজকে আমাদের কাছে দলের কোনও ব্যানার ছিল না। দলের পক্ষ থেকেও আমরা যায়নি। সাধারণ মানুষ হিসেবে উৎসবে সামিল হওয়ার জন্য এখানে গিয়েছিলাম। তবে কেন বাধা দেওয়া হল সেই বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি প্রশাসন। আমার মনে হয়, জার্সি পরা তৃণমূলের কিছু দালাল রয়েছে। তারা এভাবে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন সেটা খুবই খারাপ। তার ফল ভুগতে হবে।  মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে বাধা দিয়েছে। তার ফল ভুগতে হবে। আগামী দিনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। সেক্ষেত্রে ভারতের সংবিধানে কোথায় তা লেখা রয়েছে তা আমরা জানতে চাইব। যা করা হয়েছে গায়ের জোরে। মানুষকে এভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না।’