Tala Water Tank: নীল সাদা হয়ে গেল টালার ট্যাঙ্ক! জল হবে আরও স্বচ্ছ, কী রঙ জানেন?

শহর কলকাতার প্রাচীনত্বের সঙ্গে যে বিষয়গুলি জড়িয়ে রয়েছে তার মধ্য়ে অন্যতম হল টালার ট্যাঙ্ক। শতবর্ষপ্রাচীন এই টালা ট্যাঙ্ক। বিশ্বের অন্য়তম বড় জলাধার। তবে এবার এই জলাধারের রঙেরও বদল হচ্ছে। নীল সাদায় সেজে উঠছে এই টালা ট্যাঙ্ক। তবে এই নীল সাদা ঠিক আর পাঁচটা নীল সাদা রঙের মতো নয়। এই নীল সাদা একেবারে অন্য়রকম। বিশেষ ধরনের নীল সাদা রঙ করা হচ্ছে এই টালায়। 

নীল সাদা রঙের প্রলেপ পড়েছে টালার ট্যাঙ্কে। প্রায় ১০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এই জলের ট্যাঙ্ক। এই টালার ট্যাঙ্ক রঙ করার জন্য় খরচ করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার রঙ। তবে এটা যেহেতু জলাধার সেকারণে এখানে বিশেষ ধরনের রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। 

মূলত পানীয় জলের বিশুদ্ধতা রক্ষার উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। এমনকী যেটা দাবি করা হচ্ছে যে টালা ট্যাঙ্কের বাইরে যে রঙ দেওয়া হয়েছে তাতে অতিবেগুনি রশ্মি রোধ করা যাবে। এমনকী টালা ট্যাঙ্কে এই রঙ করার জেরে মরচেও রোধ করা যাবে। 

এর আগে হাওড়া ব্রিজে এই সীসা বিহীন রঙ ব্য়বহার করা হয়েছিল। এবার টালার ট্যাঙ্কে এই বিশেষ ধরনের রঙ ব্যবহার করা হল। তবে এই রঙের জেরে যাতে জলের ট্যাঙ্কে কোনও ক্ষতি না হয় সেটা বিশেষভাবে দেখা হয়েছে। কারণ এই ট্যাঙ্ক থেকেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে জল সরবরাহ করা হয়। সেই ট্যাঙ্ক থেকেই জল সরবরাহ করা হয়। সেই ট্যাঙ্ককে এবার বিশেষ রঙে রাঙিয়ে তোলা হল। 

এদিকে গোটা বাংলা জুড়েই নীল সাদা রঙের ছড়াছড়ি। যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই দেখা যায় শুধুই নীল আর সাদা রঙে মাখামাখি। আর সেই নীল সাদার দলে এবার নবতম সংযোজন টালার ট্যাঙ্ক। এবার টালার ট্যাঙ্কও হচ্ছে নীল সাদা।  

এদিকে শহর কলকাতা বলে শুধু নয়, গোটা বাংলা জুড়েই নীল সাদা রঙের প্রলেপ। অধিকাংশ স্কুল কলেজে পড়েছে নীল সাদার প্রলেপ। সেই সঙ্গেই সরকারি বিল্ডিং মানেই নীল সাদা। ব্রিজে, উড়ালপুলে, ডিভাইডারেও নীল সাদা রঙের প্রলেপ পড়েছে। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন হল টালার ট্যাঙ্ক। ট্য়াঙ্কের উপরিভাগ নীল সাদা রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। তবে জল থাকার জেরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে এক্ষেত্রে। 

প্রসঙ্গত, ১৯০৭ সালের অগস্ট মাসে এই ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ১৯০৯ সালের ১৮ নভেম্বর। ট্যাঙ্ক তৈরির জন্য ৭ হাজার মেট্রিক টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছিল। বিশ্ববিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ যে ইস্পাত দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল সেই ইস্পাত দিয়েই তৈরি করা হয় এই ট্যাঙ্ক। ২০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন এই ট্যাঙ্কটি মাটি থেকে ১১০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এই ট্যাঙ্কে মোট চারটি প্রকোষ্ঠ রয়েছে। যার প্রত্যেকটিতে জল ধারণ ক্ষমতা প্রায় সাড়ে ২২ লক্ষ গ্যালন এবং সবমিলিয়ে এর জল ধারণ ক্ষমতা ৯০ লক্ষ গ্যালন।