Gujarat High Court: গবাদি পশুও সন্তান! অপহৃত মেয়ে ও গৃহপালিত প্রাণীদের ফিরে পেতে হাইকোর্টে মা

সম্প্রতি গুজরাট হাইকোর্টে একটি হেবিয়াস করপাস মামলা দায়ের করেছেন এক মহিলা। মামলায় মহিলা যে আবেদন করেছেন তা শুনে কার্যত হতবাক হাইকোর্ট। বছরখানেক আগে এক মহিলার মেয়েকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সঙ্গে তার বেশ কিছু গবাদি পশুও চুরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার ভিত্তিতে মেয়ে এবং গবাদি পশুদের ফিরে পেতে গুজরাট হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মহিলা। মামলায় নিজের আবেদনে সুরাটের ওই মহিলা গবাদি পশুগুলিকে নিজের সন্তান বলে দাবি করেছেন। এই অবস্থায় গবাদি পশুর ক্ষেত্রে হেবিয়াস করপাস আবেদন গ্রাহ্য হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।

আরও পড়ুন: সমাজের চোখে খারাপ হতে পারেন, শিশুর জন্য তিনিই ‘ভালো মা’, পর্যবেক্ষণ আদালতের

মামলার বয়ান অনুযায়ী, ওই মহিলার মেয়েকে ২ বছর আগে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। তখন তার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তার গরু, মহিষ এবং মুরগি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় দুটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। এর মধ্যে একটি এফআইআর রুজু হয়েছিল ২০২২ সালের অগস্টে এবং অন্যটি দায়ের হয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু, পুলিশের কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানালেও পুলিশ তার মেয়ে এবং গবাদি পশুগুলিকে উদ্ধার করতে পারেনি। আবেদনকারীর আইনজীবী এবি পান্ড্য আদালতকে জানান, এই ঘটনার পিছনে দুজন জমি মাফিয়ার হাত ছিল। তারা সেখান থেকে মহিলাকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য পুরসভার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।

বিচারপতি এওয়াই কোগজে এবং বিচারপতি এসজে দেবের ডিভিশন বেঞ্চ মহিলার গবাদি পশু ফিরিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত আবেদন নিয়ে আইনজীবীকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, তাঁর মক্কেল এই প্রাণীগুলিকে নিজের সন্তানের মতোই দেখতেন। তাই অবিলম্বে তাদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

যদিও এই মামলায় হাইকোর্ট কীভাবে হেবিয়াস করপাসের অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে? তা নিয়ে আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি কোগজে। তবে আইনজীবীর উত্তর শুনে কার্যত বিস্মিত হয়ে যায় হাইকোর্ট। উত্তরে আইনজীবী জানান, ‘কারণ তারাও মানুষ। ওই মহিলা এই প্রাণীদের মা।’ পরে মামলাটি হেবিয়াস করপাসের এক্তিয়ারে আনার জন্য ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন থেকে আইনজীবীকে পশু ও পাখির হেফাজতের আর্জি প্রত্যাহার করে নিতে বলে। আদালত জানায়, ‘আমরা নিশ্চিত নই যে পশু ও পাখিদের জন্য এভাবে হেবিয়াস করপাস কার্যকর করা যায় কি না।’ আগামী ১৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।