Suvendu on Ram Navami Violence: মমতার উস্কানিতেই একাধিক রামনবমী মিছিলে ‘হামলা’, অভিযোগ শুভেন্দুর

বুধবার রামনবমীর সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে হিংসা ছড়ায়। সেই ঘটনায় একাধিক পুলিশ কর্মী জখম হন। সেই হিংসার ঘটনায় এবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে দিয়ে এই হিংসার তদন্তের দাবি জানান শুভেন্দু। শুভেন্দুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রা ব্যাহত হয়েছে এবং তাতে হামলা চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতেও রামনবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে হিংসার অভিযোগ ওঠে। (আরও পড়ুন: জারি হল স্কুলের গরমের ছুটির বিজ্ঞপ্তি, সঙ্গে অতিরিক্ত ক্লাসের নির্দেশিকা)

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে বিস্ফোরণ রাজ্যে, রামনবমীর রাতে বিকট আওয়াজে কাঁপল জামুড়িয়া

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বুধবার ব্যাহত হয় রামনবমীর একাধিক শোভাযাত্রা। এই সব মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক বক্তৃতার কারণেই দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালায়। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেই আশ্বস্ত হয়েছিল যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে না। রামনবমী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান হল – এটি একটি দাঙ্গার দিন।’ (আরও পড়ুন: বিতর্কের আবহে বদলাবে আকবর ও সীতার ‘পরিচয়’, দুই সিংহের নয়া নামের প্রস্তাব বাংলার)

আরও পড়ুন: ফের গুলির আওয়াজে তটস্থ ভাটপাড়া, জখম তৃণমূল সমর্থক, অভিযোগের তিরে বিদ্ধ পদ্ম

উল্লেখ্য, এবারও রামনবমী ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সংঘর্ষ ঘটেছে রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুরে রামনবমীর মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর জেরে একাধিক পুলিশকর্মী, দুই নাবালক সহ মোট ১৮ জন জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, হিংসা ছড়াতেই সেই এলাকার একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। দুই গোষ্ঠীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে নাকি লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল। সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটাতে হয়েছিল পুলিশকে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, স্থানীয়রা দাবি করছে, পুলিশ প্রায় ২০ জনকে এই হিংসার ঘটনায় আটক করে গতকাল। তাদের জেরা করা হচ্ছে। এদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জখম পুলিশকর্মীদের মধ্যে অন্যতম হলেন শক্তিপুর থানার আইসি। এদিকে জখম ব্যক্তিদের অনেকেরই হাতে এবং পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী বোমাও ছোড়া হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। এই আবহে অনেক পুলিশকর্মীর শরীরে বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতও রয়েছে। (আরও পড়ুন: ঘুঘুডাঙা থেকে লস্করের চিঠি পাঠানো হয়েছিল শান্তনু ঠাকুরকে! তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য)

আরও পড়ুন: ‘আইনসিদ্ধ উত্তম-মধ্যম দিলে দোষ নেই’, বিতর্কিত মন্তব্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

এদিকে গতকাল রামনবমীর শোভাযাত্রার ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতেও। অভিযোগ, শোভাযাত্রায় উড়ে আসা পাথরের আঘাতে ৪ জন গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন। পরে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরই সঙ্গে উত্তেজিত জনতাকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাঠানো হয় সেখানে। এদিকে হিংসার অভিযোগে শোভাযাত্রায় সামিল ৪ ‘রামভক্তকে’ নাকি পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় এগরা থানায়।