অন্ধকারে ডুবছে ব্যস্ততম গড়িয়াহাট ব্রিজ, ১৫ দিন ধরে আলো জ্বলছে না, কারণ কী?

অন্ধকার ঘনিয়ে এল সন্ধ্যেবেলায়। এমনটা যে হতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। তাও আবার খাস কলকাতায়। হ্যাঁ, গত ১৫ দিন ধরে উড়ালপুলের আলো জ্বলছে না বলে অভিযোগ। আর তার জেরে অন্ধকারে ডুবেছে গড়িয়াহাট উড়ালপুল। তবে এই ঘটনা পর পর ১৫ দিন ধরে ঘটে গেলেও নজর পড়েনি ব্রিজ কর্তৃপক্ষের। তাই নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আর আলো না জ্বলে ওঠায় অন্ধকারকে সম্বল করেই উড়ালপুলের উপর যাতায়াত করছে যানবাহন। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অন্ধকারে গাড়ির হেডলাইটই ভরসা। দ্রুত এই উড়ালপুলের আলোর সমস্যা মিটে যাক চাইছেন নগরবাসী।

এদিকে দু’‌সপ্তাহ ধরে গোলপার্কের দিকের আলোগুলি বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপর কদিন আগে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির দিকের আলোয় সমস্যা দেখা দেয়। তাই আলো নিভে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে। সুতরাং সন্ধ্যাবেলায় উড়ালপুল ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারে। আর যাতায়াত করতে বিপত্তি হচ্ছে যাত্রীদের। এক্ষেত্রে গাড়ির হেডলাইটই ভরসা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সকলের। তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে চাকরিরত সেলিমপুরের বাসিন্দা ভাস্কর দাশগুপ্ত বলেন, ‘‌সন্ধ্যা হলেই গড়িয়াহাট উড়ালপুলের উপর অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। গাড়ির হেডলাইট দিয়েই কাজ চালাচ্ছে। কিন্তু তাতে তো সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। যথেষ্ট ‘ঝুঁকি’ নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’‌

আরও পড়ুন:‌ জলপাইগুড়িতে বিজেপির বুথ অফিসে ঢুকে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী, কী ঘটল সেখানে?‌

অন্যদিকে গড়িয়াহাট উড়ালপুলের তলায় এইচআরবিসি’র অফিস আছে। অনেকে এখানে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর। এই এলাকার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌরভ বসু বলেন, ‘‌বিষয়টি আমি শুনেছি। আর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। শহরের এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুল। এখানে প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে। সেতুর উপর আলো না থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।’‌ এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুতীর্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আমার বাড়ি এখানেই। কয়েকদিন এই সমস্যা দেখছি। গড়িয়াহাট উড়ালপুল এখন অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করুক সেই আর্জি জানাচ্ছি।’‌

তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এইচআরবিসি’র এক অফিসার জানান, একটা যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই এই সমস্যা হচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে তাই মনে হচ্ছে। দ্রুত বিষয়টি দেখে ঠিক হয়ে যাবে। আলো জ্বালার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর উড়ালপুল ব্যবহারকারী যাত্রী রোহন সেনগুপ্ত বলছেন, ‘‌উড়ালপুলে আলো থাকলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আবার গতি বাড়ানো এবং নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতেও সুবিধা হয়। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান হোক তা চাইছি।’‌