Bratya Basu: ‘বাঙালির… অপমান!’ শিক্ষাবিদদের সঙ্গে দেখা করেননি রাজ্যপাল, ক্ষুব্ধ ব্রাত্য

শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করার জন্য চারজন প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদরা গিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেননি বলে খবর। এরপরই এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি এক্স হ্য়ান্ডেলে এনিয়ে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, তিনি ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসারে অতিথিদের আপ্যায়নের প্রথা তো ভেঙেছেনই সেই সঙ্গে বাঙালি শিক্ষাবিদদের অপমান করেছেন। এটা লজ্জার। 

রাজভবনে হাজির হওয়ার পরে রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি বলে খবর। তবে রাজভবনের এক আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে কত বছর কাজ করছেন? বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কী ভাবছেন? এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয় বলে খবর। 

কার্যত উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য় ও রাজ্যপাল দ্বন্দ্বের আঁচ যেন ক্রমেই বাড়ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি তৈরি করতে হয়। আর সেই সার্চ কমিটি রাজ্য়পালের কাছে অনুমোদন করা হয়। সেক্ষেত্রে সার্চ কমিটি রাজভবন থেকে অনুমোদিত হয়ে আসার পরে তারপর সেই সার্চ কমিটি অন্তত তিনটি নামকে উপাচার্য হিসাবে মনোনীত করেন। সেই অনুসারে সেটা ফের রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। রাজ্য়পাল তার মধ্য়ে থেকে একটি নামকে বেছে নিতে পারেন। আবার তিনি সব নামকেই বাতিল করে দিতে পারেন।

রাজ্য়ের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য়ে ২৭টিতে গত বছর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই উপাচার্যদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এরপর রাজ্য়সরকার প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে যায়।

আর ব্রাত্য বসু এর আগে জানিয়েছিলেন, নতুন উপাচার্য নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং রাজ্যপালের প্রতিনিধিদেরও রেখে সার্চ কমিটি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে রাজ্য়পাল কোনও সাড়াশব্দ করছেন না।

এককভাবে রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজ্যের চার বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলেছিল রাজ্য সরকার। এমনকী উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে রাজভবনকে বলা হয়েছিল, রাজ্যপাল যেন তাঁর নির্দেশ প্রত্যাহার করেন।

উচ্চশিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ বিশেষ সচিব ওই চিঠিতে দাবি করেন, এই নিয়োগের বিষয়ে গত ৫ এপ্রিল রাজভবনের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয়েছিল। আর সেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখা হয়েছিল, শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্যপাল দার্জিলিং হিলস, ঝাড়গ্রাম সাধু রামচাঁদ মুর্মু, উত্তর ২৪ পরগনার হরিচাঁদ গুরুচাঁদ এবং হুগলির রানী রাসমণি গ্রিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। যদিও এমন কোনও সুপারিশ শিক্ষামন্ত্রী করেননি বলে দাবি করেছিলেন তিনি।