CESC power supply: তীব্র গরমে যেন কারেন্ট না যায়, CESC-কে নির্দেশ রাজ্যের

গত কয়েকদিন ধরে গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। কলকাতাতেও ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে তাপমাত্রা। আগামী কয়েক দিনে দাবদাহের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। গরম বাড়তেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। আর সেইসঙ্গে এসি, কুলার, ফ্রিজ, ফ্যানের ব্যবহারও বেড়েছে। আর চাহিদা বাড়তেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তীব্র গরমে আরও অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। এই অবস্থায় কোনওভাবেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

আরও পড়ুন: ‘ভোল্টেজ বেশি হওয়ায় পুড়ে যাচ্ছে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম’, সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ

জানা গিয়েছে, গরমে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে শুক্রবার সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে এই বৈঠক করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব শ্রী শান্তনু বসু, পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান শ্রী পি বি সেলিম এবং সিইএসসির আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন মন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যদি কোনও জায়গায় যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় বা বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত করা হয় সেই সময় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে বলেছেন মন্ত্রী। এর পাশাপাশি মোবাইল রিপেয়ারিং ভ্যান এবং মেরামতের জন্য কর্মী সংখ্যা আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে সিইএসসি। সংস্থার তরফে এক আধিকারিক জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যার সমাধানে সুপারভাইজারি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন সিস্টেম (এসসিএডিএ)-এর ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে যে কোনও জায়গায় সমস্যা হলে দ্রুত পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে। গ্রাহকদের আরও ভালো পরিষেবা দিতে এই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর ফলে গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন সংস্থার আধিকারিক।

সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই ব্যবস্থার ফলে কোনও জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে দ্রুত সেই জায়গায় অন্য সূত্র মারফত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। আর এই সময়ের মধ্যে যে সমস্যা হয়েছে তা লোক পাঠিয়ে সমাধান করা হবে। তবে এর পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে বলে মনে করছে সিইএসসি।