TMC leader allegedly beaten: TMC নেতাকে ‘পেটাল’ পুলিশ, আমডাঙায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও কর্মীদের

তৃণমূলের এক নেতাকে মারধর করার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আমডাঙা। পুলিশের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু মারধরই নয়, তৃণমূল নেতাকে পুলিশ থানায় তুলে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার পাশাপাশি থানা ঘেরাও করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, পুলিশের মারে হাত ভেঙে যায় তৃণমূল নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আমডাঙায়।

আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জে ভোটের আগে স্লিপ বিলি করতে গিয়ে মহিলার শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় TMC কর্মী

আমডাঙা ব্লকের তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মোস্তাক আহমদ আমডাঙার একটি দোকানে অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে চা খাচ্ছিলেন। তখন তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তিকে মারধর করছিল পুলিশ। তা দেখার পরে তিনি সেখানে ছুটে যান। তিনি পুলিশকে বাধা দিতে গেলে পুলিশ তাঁকে পালটা মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় হাড় হাত ভেঙে যায় তৃণমূল নেতার। এরপর সেই অবস্থাতেই তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হতেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পাশাপাশি থানা ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। এছাড়াও সেখানে যান বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী প্রমুখ। তাঁরা সেখানে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এদিকে, আহত তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে তাঁকে ঘটনাস্থলে নিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। তিনি অনুগামীদের শান্ত হওয়ার বার্তা দিলে তাঁরা বিক্ষোভ তুলে নেন।

মোস্তাক আহমেদের দাবি, তাঁকে যাঁরা মারধর করেছে, তাঁদের অনেকেই তিনি চেনেন। তাঁর দাবি, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। তা সত্ত্বেও তাঁকে কেন মারধর করা হয়েছে, তা তিনি জানতে চাইবেন। আমডাঙা থানার আইসির বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ তুলেছেন।

এদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। অনুগামীদের অভিযোগ, রফিকুর রহমান পুলিশকে দিয়ে মোস্তাককে মার খাইয়েছেন। অভিযোগ, রফিকুল সম্প্রীতি বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। তারপর পরিকল্পনা করে পুলিশকে দিয়ে মোস্তাককে মারধর করা হয়েছে। যদিও অর্জুন পালটা পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে মোস্তাককে মারধর করার অভিযোগ তুলেছেন। যদিও এবিষয়ে পার্থ ভৌমিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।