‘‌পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাপ–অপকর্ম করেছেন’‌, এসএসসি মামলার রায়ে বিস্ফোরক কুণাল

কলকাতা হাইকোর্টের আজ,সোমবার এসএসসি মামলায় বড় রায় দিয়েছে। তার জেরে বিপুল পরিমাণ শিক্ষক–শিক্ষিকা চাকরি হারিয়েছেন। এই রায়ের পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। কয়েকটি লোক পাপ করেছেন। তাঁদের শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু তার জন্য যাঁরা যোগ্য তাঁদের চাকরি খাওয়া ঠিক নয়। এমনই কথা শুনিয়েছেন কুণাল কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর। শুধু তাই নয়, এই বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। অনেক আগেই পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন কুণাল।

তবে চাকরি যাঁরা খুইয়েছেন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নির্বাচনী জনসভা থেকে জানান, এই রায় বেআইনি। বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়া হবে। যোগ্যদের চাকরি ফেরানো হবে। কলকাতা হাইকোর্ট আজ ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছে। তাদের মধ্যে অনেককে আবার এতদিনের পাওয়া বেতন সুদ–সহ ফেরত দিতে হবে। রাজ্য সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে কুণাল ঘোষ সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে গোটা বিষয়টির দায় তাঁর ওপরই চাপিয়ে দিলেন।

আরও পড়ুন:‌ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে ৯ রাউন্ড গুলি চলল, ভরসন্ধ্যায় খড়্গপুরে শুটআউটে আলোড়ন

কিন্তু আজ এসএসসি মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের পরীক্ষার প্যানেলের গ্রুপ–সি, গ্রুপ–ডি, নবম–দশম, একাদশ–দ্বাদশের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেন। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলে কুণাল বলেন, ‘‌একটা সময় যে বা যাঁরা অপকর্ম করেছে, চক্র তৈরি করেছে অনেক আগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তখন তাঁরাই ছড়ি ঘুরিয়েছে। যাঁরা বলতে যেত তাঁরা অপ্রিয় হতো। আজ এই সমস্যার উত্তর দিতে হচ্ছে গুটি কয়েক লোকের জন্য। দিনের পর দিন ঔদ্ধত্যের সঙ্গে তাঁরা যে চরম পাপ করেছেন, তার ফল আজ ভুগতে হচ্ছে।’‌

কুণালের এমন মন্তব্য পার্থকে অপরাধের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আর ব্রাত্য বসুর প্রসঙ্গ নিয়ে এসে পার্থকে নিশানা করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‌ব্রাত্য বসুকে সরিয়ে শিক্ষামন্ত্রী হন পার্থ। কেন তাঁকে সরানো হয়েছিল?‌ এখন বোঝা যাচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে গুটি কয়েক লোকের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর এখন ভোটের সময় দিতে হচ্ছে। এটা অবাঞ্ছিত। কিন্তু চরম ঔদ্ধত্যের সঙ্গে যে পাপটা করে গিয়েছেন তার জন্য আজ সরকারকে ও দলকে উত্তর দিতে হচ্ছে। যদি বলা হয়, বিড়ম্বনা হয়নি। তাহলে সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সেটা মিলবে না। দলের শুদ্ধিকরণ অনেক আগেই করা উচিত ছিল।’‌