বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে অটোরিকশাচালককে হত্যা: দুজনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক রাসেলকে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৭ সালের ১৮ জুন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বাহার।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের শুভপুর এলাকার সোলেমান হক পাগলার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৩), নাঙ্গলকোটের গন্দাচি গ্রামের আলা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ (৩০)। রায় ঘোষণার সময় গিয়াস উদ্দিন উপস্থিত থাকলেও অপরজন পলাতক ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বাহার জানান, ২০১৭ সালের ১৮ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে রাসেলকে অপহরণ করে অজ্ঞাতনামা আসামিরা। পরে তারা এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ৫০ হাজার টাকা দিলেও ছেলেকে না পেয়ে অপহরণ মামলা করেন জয়নাল আবেদীন। পরে চৌদ্দগ্রামের চিওড়া রাস্তার মাথায় একটি মরদেহ উদ্ধার হলে জয়নাল আবেদীন সেটিকে তার ছেলের লাশ বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় মামলা করেন জয়নাল আবেদীন। পুলিশ তদন্ত করে শুভপুর এলাকার একরামুল হক পাগলা, গিয়াস উদ্দিন, শাহিন, নাঙ্গলকোটের অলি উল্লাহ ও আসমা আক্তার সাথীকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এর মধ্যে একরামুল হক পাগলার মৃত্যু হলে তাকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাথীর মামলা নারী ও শিশু আদালতে চলমান রয়েছে। শাহিনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। বাকি দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে আসামিরা স্বীকার করেন আসমা আক্তার সাথী সম্পর্কে নিহত রাসেলের ভাবি হন। তার সঙ্গে রাসেলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এদিকে, গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গেও ছিল সাথীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। এ নিয়ে বিরোধে গিয়াস উদ্দিন একরামুল হক, অলি উল্লাহকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে রাসলকে হত্যা করে মরদেহ চিওড়া রাস্তার মাথায় ফেলে দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বাহার বলেন, ‘এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। আমরা বিশ্বাস করি, উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল রাখবে।’