ব্যাটিং ধসের শিকার শাইনপুকুর জিতলো রিশাদের ঘূর্ণিতে

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের জন্য আবাহনীর চুক্তি হয়েছিল লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের সঙ্গে। কিন্তু আবাহনীর বেঞ্চ এতটাই শক্তিশালী যে তারা এই স্পিনারকে শাইনপুকুরের কাছে দিয়ে দেয়! দল বদলে যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন রিশাদ। আজ তার ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১২৫ রানে অলআউট। ১৩ রানের দারুণ এক জয় তুলে নেয় শাইনপুকুর। ব্যাট ও বল হাতে তাদের জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হন রিশাদ।

সোমবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠের পিচ যেন বোলারদের দুই হাত ভরে দিয়েছে। গাজী গ্রুপের দারুণ বোলিংয়ে শাইনপুকুর ১৩৮ রানে অলআউট হয়। এত সহজ লক্ষ্য পাবে কল্পনাও করেনি গাজী। কিন্তু রিশাদ-আরাফাত সানিদের ঘূর্ণিতে লক্ষ্যটা হয়ে গেলো বিশাল বড়।

১৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২২ রানে গাজী গ্রুপের ওপেনিং জুটি ভাঙে। দ্বিতীয় উইকেটে ৩০ এবং তৃতীয় উইকেটে ৩১ রানের জুটি বাদে গাজী আর কোনও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। ফলশ্রুতিতে ২৭.৪ ওভারে অলআউট হয় তারা। সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে হাবিবুর রহমানের ব্যাট থেকে। মেহেদী মারুফ ২৩, শেখ পারভেজ জীবন ২২ ও সাব্বির হোসেন শিকদারের ব্যাট থেকে আসে ১২ রানের ইনিংস। এর বাইরে কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। 

শাইনপুকুরের বোলারদের মধ্যে রিশাদ ৩১ রান খরচায় চারটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আরাফাত সানি তিনটি এবং হাসান মুরাদ নেন দুটি উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শাইনপুকুর। বোলিংয়ে দলকে সাফল্যে ভাসানোর আগে ব্যাটিংয়েও রাজত্ব করেছেন রিশাদ। তার ২৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে এগোয় শাইনপুকুর। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ হাসান তামিম। এর বাইরে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ১৩ রান। 

গাজীর আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও হাবিব মেহেদী তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া জীবন দুটি এবং রুয়েল মিয়া, শেখ পারভেজ জীবন নেন একটি করে উইকেট।