SSC case judgment: ৬ মাসের আগেই এল SSC মামলার রায়, জানেন ঠিক কি নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট?

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার রায় দিকেই তাকিয়ে ছিলেন চাকরিপ্রার্থী থেকে শুরু করে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে এই মামলার রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বাঙালি বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চের বড় ভূমিকা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ‘দোষেই’ কি চাকরি বাতিল হল যোগ্যদেরও? SSC মামলায় কী যুক্তি হাই কোর্টের

এসএসসি মামলায় প্রায় ৮ মাস শুনানির পর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ গত ৯ নভেম্বর ৬ মাসের মধ্যে এসএসসি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি শেষ করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, ৯ মে’র মধ্যে শুনানি শেষ করার কথা ছিল। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই রায় ঘোষণা করে দিল হাইকোর্ট। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে প্রথমে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ তারপর ডিভিশন বেঞ্চ, পরে সুপ্রিম কোর্ট হয়ে আবার হাইকোর্টে ফিরে আসে মামলা।

বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে নির্দেশ দিয়েছিল এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করতে হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করে মামলার রায় ঘোষণা করতে হবে। এছাড়াও তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে হাইকোর্টকে জমা দিতে হবে। এসএসসির মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমবেশি ৫০০০ জনের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের সেই চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। এরফলে পুনরায় চাকরিতে যোগ দেন অনেকেই ।

তবে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে গেল ২৫ হাজার ৭৭৩ জনের চাকরি। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যারা চাকরি পেয়েছিলেন তাদের বেতনের টাকা সুদ সহ ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সে ক্ষেত্রে সুদের হার বছরে ১২ শতাংশ করা হয়েছে এবং ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এসএসসি মামলায় সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাবে বলে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে। লোকসভা ভোটের মধ্যেই এসএসসি মামলার এই রায়ের ফলে স্বাভাবিকভাবেই বড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার।  

এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট নয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, ৫,০০০ অভিযুক্তের জন্য কেন এত জনের চাকরি যাবে? সে ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।