SSC judgement: চাকরিতে ঘুষের টাকা কল্যাণও পেয়েছে, বাউন্সার দিলেন অভিজিৎ

এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে ‘ত্রুটিপূর্ণ রায়’ বলে মন্তব্য করলেন আইনজীবী তথা তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, হাইকোর্টের বেঞ্চের এই রায় পুরোপুরি ভুল। এবিষয়ে চাকরিহারাদের দুশ্চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে বসে থাকার বার্তা দিয়েছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এমন মন্তব্যের পরেই তাঁকে ‘চোরের দালাল’ বলে কটাক্ষ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

আরও পড়ুন: ৬ মাসের আগেই এল SSC মামলার রায়, জানেন ঠিক কি নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট?

নির্ধারিত সময়ের আগেই আজ সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ এসএসসি মামলায় রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ের পরেই তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। একদিকে যেমন বিরোধী এবং বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা এই রায়কে স্বাগত জানান, তেমনি রাজ্য সরকার তথা শাসক দল থেকে শুরু করে চাকরি হারার এই রায়ের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। এপ্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়কে ত্রুটিপূর্ণ রায় বলে মন্তব্য করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘এই রায় সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ। সবার ক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল না। ৭৫ শতাংশ প্রার্থীর ক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল না। তাহলে কীভাবে সবার ক্ষেত্রে চাকরি বাতিল করা হল? মাত্র ৫ মিনিটে এই মামলাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেবে সুপ্রিম কোর্ট।’ এরপরে চাকরি হারাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। এই রায় সম্পূর্ণ ভুল। সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত স্থগিতাদেশ দেবে।’ এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি চাইছে মানুষের চাকরি খেতে। এতে বিজেপি নেতারা খুশি হবে।’

এদিকে, কল্যাণের এই বক্তব্যের পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন চোরের দালাল। চাকরিতে ঘুষের টাকা তিনিও পেয়েছেন।’ শুধু তাই নয়, কল্যাণের আইনজীবী হিসেবে যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিজিৎ। তাঁর বক্তব্য, তিনি কোথা থেকে আইনজীবীর ডিগ্রি পেলেন তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, এদিন রায় ঘোষণা করে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। যার ফলে ২৫ হাজার ৭৭৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে  একই সঙ্গে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের সুদ-সহ বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুদের হার হবে বছরে ১২ শতাংশ। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে।