Summer Heatwave 2024 Earth Day Pollution Global Warming Causing Health Issues Doctors Environmentalist Take Bengali News abpp

Man Made Pollution Behind Global Warming: তাপপ্রবাহ, তীব্র গরম, রোদে জ্বালাপোড়া ও শরীর খারাপের মতো শব্দ, শব্দবন্ধগুলি আমাদের চারপাশে গরম হাওয়ার মতো ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু এমন তীব্র গরমের পিছনে কোথাও কি মানুষের ভূমিকা রয়েছে ? নাকি জলবায়ু বদলের পিছনে শুধুই প্রকৃতির হাত ? কিছু কিছু ঘটনর ক্ষেত্রে একটি শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হয় — ‘ম্যান মেড ডিসাস্টার’ অর্থাৎ মানুষ ‘নির্মিত’ বিপর্যয়। এই তীব্র তাপপ্রবাহ, শরীর জ্বালানো রোদ্দুরও কি তারই ফল ? মানুষের কিছু কীর্তি ও উষ্ণ পৃথিবীর বিপজ্জনক অবস্থা নিয়েই পৃথিবী দিবসে (Earth Day 2024) এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বললেন পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডঃ কল্যাণ রুদ্র। একই সঙ্গে শুধুমাত্র দূষণের জেরে হতে পারে এমন বিভিন্ন রোগের খতিয়ান তুলে ধরলেন ফর্টিস হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জয়দীপ ঘোষ ও মণিপাল হাসপাতালের এমার্জেন্সি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পারমিতা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী।

 

বায়ুদূষণের জেরেই ফুসফুসসহ নানা রোগ (ছবি ঋণ – পিটিআই)

 

পৃথিবীর বুকে অ্যান্থ্রোপসিন পর্ব

ডঃ কল্যাণ রুদ্রর কথায়, যে সময়টার মধ্যে দিয়ে আমরা চলেছি, তাকে বলা হয় অ্যান্থ্রোপসিন (Anthropocene)। শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে এই সময়টি গোনা শুরু হয়েছে। কারণ ওই সময় থেকেই মানুষের নানা কার্যকলাপের প্রভাব পৃথিবীর উপর পড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু গত শতকের পঞ্চাশের দশক থেকে একে মূলত গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই সময়ে মানুষের জীবনের গুণগত মান অনেক বেড়েছে। অনেক দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা আবিষ্কার হয়েছে। প্রযুক্তির দিক থেকেও এগিয়েছে পৃথিবী। কিন্তু একই সঙ্গে এর জন্য বড় মূল্য় চোকাতে হয়েছে প্রকৃতিকে। সম্প্রতি এসবের ফলেই দেখা গেল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ২০২৩ সাল।

ভারতের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর

ডঃ কল্যাণ রুদ্র মনে করিয়ে দিলেন জাতীয় আবহাওয়া দফতরের সাম্প্রতিক রেকর্ডের কথা। ১৯০১ সাল থেকে সেখানে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য মজুত রয়েছে। সেই তথ্যের নিরিখে প্রতি দশ বছরের গড় উষ্ণতা আগের দশ বছরের গড়ের থেকে বেশি। রেকর্ড গড়েছে ২০২৩ সালের উষ্ণতা। আরও ভয়ের ব্যাপার, ২০২৩ সালের রেকর্ডকে হার মানাতে পারে ২০২৪ সাল। 

পৃথিবীর চার সম্পদে মানবসভ্যতার আঘাত

কথা সূত্রেই পৃথিবীর চারটি সম্পদে ক্ষত তৈরি হওয়ার কথা বললেন পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের চেয়ারম্যান। তাঁর কথায়, এই চারটি সম্পদের মধ্যে রয়েছে ভূত্বক বা লিথোস্ফিয়ার, জলমণ্ডল বা হাইড্রোস্ফিয়ার,বায়ুমণ্ডল বা অ্যাটমস্ফিয়ার ও বায়োডাইভার্সিটি বা জীববৈচিত্র্য়। একে একে প্রতিটি ক্ষেত্রে অবক্ষয়ের সংক্ষিপ্ত চেহারাও দেখিয়ে দিলেন ‘বাংলার নদীকথার’ লেখক। 

  • জমি স্বাভাবিক উর্বরতা হারাচ্ছে। রাসায়নিক সারের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, প্রতি বছরই বাড়ছে এর ব্যবহার। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক। শুধু কীটনাশকের জেরেই প্রচুর প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, দূষণের কারণে ১৯৫০ থেকে গত সাত দশকে জীববৈচিত্র্য ৬৮ শতাংশ কমেছে। একই সময়কালে মানুষের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ !
  • বর্তমানে বায়ুমণ্ডলের অবস্থা প্রাণদায়ীর বদলে প্রাণঘাতী বলা যায়। বিশেষত শীতের সময় পার্টিকুলেট ম্যাটার এবং অন্যান্য দূষকের কারণে এই দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। যা আবার মানুষের শরীরে নানা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
  • একইভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে নদী, সমুদ্র ও অন্যান্য জলসম্পদগুলিতেও। যেই দূষণ চাইলেই বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে রোধ করা যায়। কিন্তু উল্টে তা উৎস হয়ে দাঁড়াচ্ছে নানা প্রাণঘাতী রোগের। আর এই সবকিছুর জের প্রাথমিকভাবে ভুগতে হয়েছে ওই ৬৮ শতাংশ বিলুপ্ত জীবদের।

ছন্দ হারাচ্ছে বৃষ্টিপাত

শুধু তাপপ্রবাহ বা হিটওয়েভের কথাই আমরা বলে থাকি। কিন্তু গত কিছু বছরে বদলে গিয়েছে বৃষ্টিপাতের ধরনও। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার একটা পিঠ তীব্র তাপপ্রবাহ হলে অন্য পিঠ অবশ্যই বৃষ্টিপাত। শুধু বৃষ্টির জেরে কিছু দিন আগে তুমুল বিপর্যস্ত হয় মধ্যপ্রাচ্যের এক অত্যাধুনিক শহর দুবাই। অর্থাৎ আধুনিক ব‌্যবস্থাপনা থাকলেও সঙ্গীন হতে পারে পরিস্থিতি। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও খানিক তাই। কল্যাণ রুদ্র জানালেন, বাংলার উত্তরে হিমালয় থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মোট সাতটি অ্যাগ্রোক্লাইমেট জোন রয়েছে। এই সাত জোনে সাতরকম বদল দেখা গিয়েছে বৃষ্টিপাতের। যেমন হিমালয় অংশে বৃষ্টিপাত বেড়েছে ১-৬ শতাংশ। কিন্তু হিমালয়ের পাদদেশে বৃষ্টিপাত ৪ শতাংশ কমেছে। আবার বারেন্দ্রভূমিতে বৃষ্টিপাত ৬ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু গাঙ্গেয় বঙ্গে তা কমে গিয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ । রাঢ়বাংলায় বৃষ্টিপাতে বদল না হলেও মালভূমিতে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সুন্দরবন এলাকায়, প্রায় ১৪ শতাংশ।

  • জুন-অক্টোবরের বৃষ্টির জেরে খাদ্যসংকট – জুন মাসের বৃষ্টি কমে গিয়ে অক্টোবরের বৃষ্টি বাড়ছে গত কয়েক বছর ধরে। জুন মাসের বৃষ্টি কম হলে ফসল বুনতে দেরি হয়। আবার অক্টোবরের বৃষ্টি বেশি হলে পাকা ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে যায়‌‌। মৌসুমি বায়ুর এই খামখেয়ালিপনায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কা বাড়ছে।
    আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা (ছবি ঋণ - পিটিআই)
    আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা (ছবি ঋণ – পিটিআই)

দূষণের জেরে রোগের পাহাড়

বায়ুদূষণ থেকে শব্দদূষণ, জলদূষণ থেকে মৃত্তিকা দূষণের জেরে রোগের পাহাড়ে বাস মানুষের ‌। এর গুরুতর কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করলেন চিকিৎসক জয়দীপ ঘোষ ও চিকিৎসক পারমিতা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী।

  • বায়ুদূষণ – বর্তমানে দূষণজনিত রোগের পিছনে বায়ুদূষণ অন্যতম বড় কারণ। ডিজেল গাড়ি, কলকারখানার ধোঁয়া থেকে নির্গত পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫-র পরিমাণ বাতাসে বাড়ছে। যা অ্যাজমা ছাড়াও নানা রোগ ডেকে আনছে। চিকিৎসক জয়দীপ ঘোষের কথায়, কয়েক দশকে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। দূষণ যার অন্যতম কারণ। মানুষের ধূমপানের প্রবণতার জেরে বেড়েছে ক্যানসারসহ ফুসফুসের নানা রোগ। 
  • জল ও মাটির দূষণ – এই দূষণ বড় প্রভাব ফেলেছে আমাদের খাদ্যব্যবস্থার উপর। প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ও রাসায়নিক দিয়ে ফলানো খাবারের কারণে পেটের গোলযোগ, সংক্রমণ বাড়ছে‌। কমছে পুষ্টির হার। খাবার খেলেও শরীর যথাযথ পুষ্টি পাচ্ছে না। কারণ খাবারের সঙ্গেই শরীরে ঢুকছে টক্সিক পদার্থ। জলবাহিত রোগের মধ্যে ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে আর্সেনিকের মতো ভারী ধাতুর বিষক্রিয়া বাড়ছে বলে জানান চিকিৎসক জয়দীপ ঘোষ। 
  • শব্দদূষণ – এর কারণে শ্রবণশক্তির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে‌। এর পাশাপাশি মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলছে তীব্র শব্দদূষণ। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, মানসিক সমস্যাও তৈরি হচ্ছে।
  • আর এই সবরকম দূষণের জেরেই কিন্তু বদলে যাচ্ছে জলবায়ু। বাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা পৃথিবীর উষ্ণতা। যার প্রভাব পড়ছে মার্চ থেকে জুন মাসের গরমকালে। হিটওয়েভ তারই অঙ্গ !

    বিপুল বর্জ্যের সম্মুখীন আগামী প্রজন্ম (ছবি ঋণ - গেটি ইমেজেস)
    বিপুল বর্জ্যের সম্মুখীন আগামী প্রজন্ম (ছবি ঋণ – গেটি ইমেজেস)



সমাধান কোন পথে ?

দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র এই প্রসঙ্গে বললেন কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মিশন লাইফ’ প্রকল্পটির কথা। সেখানেই মানুষের কর্তব্যের অনেকটা স্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। 

  • জল বাঁচানো – মোট ৭৫ দফা সংকল্পের মধ্যে প্রথমেই রাখা হয়েছে জলকে। সারা বিশ্বের জলসম্পদের মধ্যে স্বাদু জলের পরিমাণ মাত্র ৩ শতাংশ। ফলে যে কোনওদিন তীব্র জলসংকটে পড়তে পারে অত্যাধুনিক শহরও। যেমন পড়েছিল বেঙ্গালুরু।
  • শক্তির অপচয় কমানো – শক্তির অপচয় রোখার চেষ্টাও করতে হবে একই সঙ্গে। অযথা বিদ্যুৎ খরচ, বিপুল পরিমাণে আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র ও বিদ্যুৎ ব্যয়ের কারণেও দূষণ বাড়ছে। 
  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনা – ভোগ্যদ্রব্যের সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণ‌। এই বিপুল বর্জ্যের পাহাড়ও দূষণের বড় কারণ। প্লাস্টিক দূষণ তার মধ্যে অন্যতম। জীববৈচিত্রের একটি বড় অংশ হারিয়ে যাচ্ছে এই দূষণের কারণে। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক নিয়েই মূল সমস্যা। সারা বিশ্বে প্রতি মিনিটে ২০ লক্ষ টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হচ্ছে। যাদের আয়ু মাত্র ১২ মিনিট। গবেষণা বলছে, ২০৫০ সালে ১২০ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্যের ভার বইতে হবে পৃথিবীকে। অথচ প্লাস্টিক নানাভাবে পুনর্ব্যবহার করা যায়। এর থেকে জ্বালানি তৈরি করা যায়। আমাদের রাজ্যেই এমন উদ্যোগ হয়েছে বলে জানালেন কল্যাণবাবু। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের ছাড়পত্র পেলে তা লাগু হতে পারে। তাই বর্জ্য ঠিকভাবে ঠিক জায়গায় ফেলার দিকে নজর দিতে হবে মানুষকেই।‌
  • নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশচেতনা – লাইফস্টাইল ফর এনভারনমেন্ট শীর্ষক ওই প্রকল্পে বলা হয়েছে, নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশচেতনা আনতে হবে। তবেই দূষণ কমিয়ে ভবিষ্যত আরও সুরক্ষিত করে তোলা সম্ভব। 

আপাতত সুস্থ থাকার উপায় ?

দূষণের জেরে পরিস্থিতি যখন এমন, তখন নিজেকে সুস্থ রাখার স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা কী হতে পারে ? এই প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি উপায়ের কথা জানাচ্ছেন, চিকিৎসক জয়দীপ ঘোষ ও চিকিৎসক পারমিতা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী।

  • তাপপ্রবাহ এখন শরীর খারাপের বড় কারণ । এর থেকে বাঁচতে হাইড্রেশনকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসক পারমিতা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। 
  • জল খাওয়ার পাশাপাশি, ওআরএস বা নুন চিনির জল খাওয়া, রোদে কম বেরোনো, অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় থাকার মতো অভ্যাস তৈরি করতে হবে। 
  • এছাড়াও বাইরে বেরোলে ছাতা, সানস্ক্রিন ও সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। 
  • মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। হালকা শরীর ঠান্ডা রাখে এমন খাবার বেশি খেতে হবে।
  • বাড়ির বয়স্ক ও শিশুদের বেশি যত্ন নিতে হবে। কারণ তাদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কম হয়। 

সচেতনতাই শেষ ভরসা

সচেতনতাই শেষ আশা (ছবি ঋণ - পিটিআই)
সচেতনতাই শেষ আশা (ছবি ঋণ – পিটিআই)

তাপপ্রবাহ আজ এভাবে সামাল দেওয়া গেলেও কাল একইভাবে সামাল দেওয়া নাও যেতে পারে। পরিস্থিতির যেমন নিশ্চয়তা নেই, তেমনই আগামীকাল নিশ্চিত নয় প্রতিরোধের উপায়‌। তাই কিছু দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে সাধারণ মানুষকেই। 

  • গাছ লাগানো প্রথমেই রাখতে হবে অগ্রাধিকারের তালিকায়। অন্যান্য জিনিসের মতোই । 
  • ধোঁয়ার জেরে দূষণ অনেকটাই বাড়ছে। পেট্রোল, ডিজেলচালিত গাড়ির বদলে ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার করলে তা অনেকটা কমানো যায়। বর্তমানে তেমন গাড়িও আসছে বাজারে। 
  • সচেতন হতে হবে বিভিন্ন কলকারখানা ও বিশাল বিশাল শিল্পের মালিকদের। দূষণের পিছনে তাঁদের অনেকটাই ভূমিকা রয়েছে‌। সরকারকেও এই ব‌্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসক। 
  • অন্যদিকে খাবারের দূষণ কমাতে হলে চাষিদেরও সচেতন হতে হবে। অরগ্যানিক খাবারের এখন খুব চল হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে অরগ্যানিক খাবার সবার পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। নিজের বাড়ির ছাদেও সব সবজি ফল চাষ করা বাস্তবে অসম্ভব বলে জানালেন চিকিৎসক। তাই এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে কৃষকদেরও‌‌।
  • সর্বোপরি চিকিৎসক জয়দীপ ঘোষের কথায়, সব দায় সরকারের ঘাড়ে দায় চাপালেই হবে না। ব্যক্তিগত একক প্রচেষ্টা থেকেই সমষ্টির কল্যাণ হবে। সেই পথেই এগোতে হবে মানুষকে।

আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।

আরও পড়ুন – Child Health Tips: শিশুদের জন্য চিনি কেন বিপদের ? কীভাবে বদলে যাচ্ছে আগামী প্রজন্ম ?

Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )

Calculate The Age Through Age Calculator

আরও দেখুন