‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’

মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে কিছু ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে এই সংস্থাগুলো। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এই মন্তব্য করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা।

জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে ‘জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি’র মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, ‘তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণা করে আসছে।

এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সালিশ-মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো।

মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫-এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।

অনুষ্ঠানে ভুয়া ও নামধারী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতারণা ও অন্যান্য অপকর্ম থেকে সচেতন থাকতে বক্তারা বিশেষ গুরুত্ব দেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, মতবিনিময় সভায় জয়পুরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।

সভায় কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম।