Bratya on HC verdict: ‘আযোগ্যদের আমরাও বার করতে চেয়েছিলাম’ হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে বললেন ব্রাত্য

এসএসসি নিয়োগ মামলার রায় রাজ্য সরকারের দাবি মতো হয়েছে বলে মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর মতে, রাজ্য সরকারও চেয়েছিল আযোগ্য প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হোক। পাশপাশি শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, যোগ্য প্রার্থীদের কী হবে সেটাই এখন ভাবার বিষয়।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসি-র সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষকপদের পাশাপাশি অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে।

আরও পড়ুন। বেআইনি অর্ডার’, ২৬০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে হাই কোর্টকেই কার্যত আক্রমণ মমতার

এই রায় প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অযোগ্যদের আমরাই বার করে দিতে চেয়েছিলাম। মহামান্য বিচারপতি যা রায় দিয়েছেন, আমাদের কথাতেই মান্যতা দিলেন। এখানে প্রশ্ন, তাহলে কি যোগ্য লোকের চাকরি যাবে? উত্তর অবশ্যই না। যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা তারও দেখছে এটা কী ভাবে করা হল।’

আরও পড়ুন। ‘সাদা খাতা দিয়ে চাকরি’, ১৭ উপায়ে SSC-তে দুর্নীতি! সবটা বলল হাইকোর্ট, মাথা জ্বলবে

হাইকোর্টের এই রায় নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলে জানিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসি জানিয়ে দিয়েছে আমাদের, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যেতে চায়, আমরা তাঁদের সম্পূর্ণ আইনি সহযোগিতা করব। আইনি লড়াই আইনি পথে হবে।’

প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়কে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়েছিলেন। সোমবার চালুলিয়ার এক জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘এই অর্ডার বেআইনি অর্ডার। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করছি।’ এদিন তিনিও চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ইঙ্গিত দেন হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার।

সোমবার আদালত তার রায়ে বলেছে, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে হওয়ার পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সুদ সহ বেতন দিতে হবে চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দিতে হবে।পাশাপাশি তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই।

আরও পড়ুন। ‘‌পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাপ–অপকর্ম করেছেন’‌, এসএসসি মামলার রায়ে বিস্ফোরক কুণাল

আরও পড়ুন। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, স্কুলের পঠনপাঠন চলবে কী ভাবে? পর্ষদ তাকিয়ে SC-র দিকে

প্রশ্ন হল, হাইকোর্টের এই রায় কতটা প্রভাব ফলবে ভোট? সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভোটে এই রায় কোনও প্রভাব ফেলবে না।’