Food SI Recruitment: ফুড SI নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, CID তদন্তের নির্দেশ, স্থগিত ফল প্রকাশ, নিয়োগ

রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির মধ্যেই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে খাদ্য দফতরের সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবার সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যে এই পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে যতগুলি অভিযোগ রয়েছে সেই সমস্ত অভিযোগ একসঙ্গে নিয়ে তদন্ত করতে হবে। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার এডিজিকে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। একইসঙ্গে আপাতত এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ, নিয়োগ-সহ সব ক্ষেত্রেই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।

আরও পড়ুনঃ ‘সরকারি টাকায় সব হজম করছে’, SSC বিচারপতিদের তোপ মমতার, দেখালেন আত্মহত্যার জুজু

প্রসঙ্গত, খাদ্য দফতরে পিএসসির মাধ্যেম ৪৮০ টি শূন্যপদে সাব ইন্সপেক্টর  নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল গত বছর। ২০২৩ সালের ২৩ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল আবেদন গ্রহণ এবং শেষ হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর। এই পদের জন্য পরীক্ষা হয়েছিল গত ১৬ ও ১৭ মার্চ। কিন্তু, পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ছিল, পরীক্ষার একদিন আগে প্রশ্ন টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যেমে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রও বিক্রির অভিযোগ ওঠে। রাজ্যে জুড়ে এই পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ১২ লাখ পরীক্ষার্থী। 

এরপরেই বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের হয়। এমনকী চাকরিপ্রার্থীরা পিএসসি ভবনের সামনে এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভও করেন। শেষ পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ৫ জনকে শিলিগুড়িরই বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ ছিল তারা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে প্রশ্ন পত্রের ছবি তুলে ফাঁস করেছিল।  তারপরেই চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ অবরোধ চলতে থাকে। 

সেই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তার ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী ২২ মে’র মধ্যে সিআইডিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও নিয়োগ সহ সব ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। 

প্রসঙ্গত, গতকালই এসএসসি মামলায় রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৭৩ জনের। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যারা চাকরি পেয়েছিলেন তাদের বেতনের টাকা সুদ সহ ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সে ক্ষেত্রে সুদের হার বছরে ১২ শতাংশ করা হয়েছে এবং ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মঙ্গলবার ভাতারের জনসভা থেকে নিয়ে বিচারপতিদের আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।