ছিল ২৫ হাজার কোটির ব্যাঙ্ক দুর্নীতির অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের BJPজোটের ডেপুটি CM অজিত পাওয়ারের স্ত্রী পেলেন ক্লিনচিট

মহারাষ্ট্র স্টেট কো অপরেটিভ ব্যাঙ্ক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন  সুনেত্রা পাওয়ার। সুনেত্রার স্বামী বর্তমানে অজিত পাওয়ার সেরাজ্যের বিজেপি জোটের উপমুখ্যমন্ত্রী। আগে এনসিপির শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গেই ছিলেন অজিত, সুনেত্রারা। পরে শরদের গোষ্ঠী ছেড়ে এনসিপির একাংশ নিয়ে অজিত যোগ দেন বিজেপির জোটে। এই অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রাকে ২৫ হাজার কোটির কো অপরেটিভ ব্যাঙ্ক দুর্নীতি মামলায় ক্লিনচিট দিয়ে দিয়েছে ইকোনমিক অফেন্সেস উইং।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা ভোটে অজিতের এনসিপি গোষ্ঠীর প্রার্থী তাঁর স্ত্রী সুনেত্রা। কো অপরেটিভ ব্যাঙ্ক দুর্নীতি মামলায় সুনেত্রাকে ক্লিনচিট দিয়ে জানানো হয়েছে, গুরু কমোডিটির সঙ্গে জরন্দেশ্বর সুগার মিলসের যে লেনদেন ছিল, জরন্দেশ্বর কোঅপরেটিভ সুগারমিলস ঘিরে তাতে অবৈধতা কিছু নেই। যদিও ইডির রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই তরফ থেকে এমন ‘লেনদেনের পেপার’ রাখা হয়েছে, যা  লিজ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। এই মামলার ক্লোজার রিপোর্ট ২০২০ সালেই এসেছিল  ইকোনমিক অফেন্সেস উইং এর তরফে। তবে পরে যখন অজিত পাওয়ার আর তাঁর ভাইপো রোহিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসে, উদ্ধব ঠাকরেদের শিবসেনার জোটের সঙ্গে চলে যান, তখন ফের এই মামলা নিয়ে কোর্টে যায় ইকোনমিক অফেন্সেস উইং। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই মামলায় দ্বিতীয়বার ক্লোজার রিপোর্ট দিল ইকোনমিক অফেন্সেস উইং। সেখানে বলা হচ্ছে, অজিত পাওয়ার সহ এই মামলায় কারোর বিরুদ্ধেই অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। এছাড়াও অজিতের ভাইপো রোহিতের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলির ওপর থেকেও অভিযোগের খাড়া সরে গিয়েছে। বলা হচ্ছে, রোহিতের বারামতি অ্যাগ্রো আর্থিকভাবে বে পোক্ত। আর তারা যখন কান্নাড সুগার মিলস কিনেছিল, তখন সেখানে ফান্ড সরানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এদিকে, সুনেত্রা পাওয়ার ছিলেন জয় অ্যাগ্রোটেকের ডিরেক্টর। সেখানেই জরন্দেশ্বর সুগার মিলসে দেওয়া টাকার কিছু লেনদেন ঘিরে উঠে ছিল প্রশ্ন।

( Water Drinking Tips in Summer: গরমে দিনে কত গ্লাস জল খাওয়া সঠিক? ফ্রিজের জল বেশি খেলে আসতে পারে কোন বিপদ? রইল জরুরি টিপস)

এমএসসিবির ছাতার তলায় রয়েছে ৩১ টি সেন্ট্রাল কো অপরেটিভ ব্যাঙ্ক। বেশিরভাগই জেলার নামে নামাঙ্কিত। এগুলি বহু রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয় বলে খবর। ২০০২ থেকে ২০১৭ বহু কো অপরেটিভ সুগার কারখানাকে ঋণ দিয়েছিল, পরে তাদের ইউনিট খুব কম দামে নিলামে তুলে ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্ক যাঁরা চালাচ্ছেন তাঁগের আত্মীয়দের নাম সামনে রেখে এভাবে ঋণের টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, বলে অভিযোগ।