জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া মার্কায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমানসহ কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাছিরপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আলী হোসেন বলেন, ‘কিশোর রায় চৌধুরী মনির গুন্ডা বাহিনী পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনফর আলীর ছেলে সাইদুরসহ আমার নির্বাচনি প্রচারণা বন্ধ করতে আক্রমণ চালায়। উপজেলার সকল মানুষের কাছে বিচার দিলাম। আপনারা এই বিচার করবেন। আমার আর কিছু বলার নেই।’

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর ছোট ভাই মো. আমীর হোসেন বলেন, ‘আমার ভাইকে সাইদুর রহমান, মুহিব এবং সুহেল মারধর করে। এই ঘটনা ঘটিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলী। মূলত নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এই আক্রমণ চালানো হয়। আমরা তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবো। বর্তমানে আমি ভাইকে নিয়ে সিলেট যাচ্ছি।’

আলী হোসেন পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি ভিডিওতে দেখা যায় ঘটনার পরপরই হাসপাতালে আলী হোসেনকে দেখতে যান কাপ-পিরিচের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি। সেখানে আলী হোসেনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মনি বলেন, ‘আমার কোনও গুন্ডা বাহিনী নেই। আর গুন্ডা বাহিনী পালার মতো আমার ক্ষমতাও নেই।’

অভিযোগের বিষয়ে কিশোর রায় চৌধুরী মনির সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাপস দাশ নামের একজন কল রিসিভ করে বলেন, ‘তিনি (কিশোর রায় চৌধুরী মনি) গণসংযোগে আছেন। আপনি কল দিয়েছেন বিষয়টি আমি দাদাকে পরে জানাবো।’

জুড়ী উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমরা বর্তমানে আইনিভাবে যা যা করার সেটি করতেছি।’

বিষয়টি সম্পর্কে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, ‘আমরা থানায় মামলা করতে বলেছি। থানায় তো মামলা করতে হবে। মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’