দক্ষিণ লেবাননে ‘আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ নিচ্ছে ইসরায়েল

দক্ষিণ লেবানন জুড়ে ‘আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের স্থল বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করছে কিনা তা উল্লেখ না করে বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ কথা বলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ফরাসি বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক বিবৃতিতে বলেন, দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তে অনেক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দক্ষিণ লেবাননে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মাসব্যাপী অভিযানে হিজবুল্লাহর অর্ধেকের বেশি নেতাকে নির্মূল করার দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, বাকি অর্ধেক নেতা লুকিয়ে আছেন। আইডিএফ-এর অভিযানের জন্য স্থান পরিবর্তন করেছেন তারা।

আরেকটি আলাদা বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামকির বাহিনী বলেছিল, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর ৪০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলে আক্রমণ করার জন্য এ এলাকায় কয়েক ডজন সন্ত্রাসী কৌশল ও অবকাঠামো স্থাপন করেছে হিজবুল্লাহ।

লেবাননের জাতীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, আইতা আল-শাব ও আশেপাশের গ্রামে ১৩টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

বুধবার ইসরায়েলের সীমান্তে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা চালানোর পর এই হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহ।

৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে আইডিএফ বাহিনী ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

এএফপির তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে কমপক্ষে ৩৮০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। নিহতদের মধ্যে ৭২ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েল বলছে, সীমান্তের পাশে ১১ জন সেনা ও আট জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।