Swami Goutamananda: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সপ্তদশ অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দজি মহারাজ

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দ। এতদিন তিনি সহ অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের দেহবসানের পর অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষর দায়িত্বভার নেন মঠ ও মিশনের অন্যতম বর্ষীয়ান সহ অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ।

নতুন অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত এই শতাব্দীপ্রাচীন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকে না। গত ৭ এপ্রিল প্রয়াত ষোড়শ অধ্যক্ষের ভাণ্ডারা অনুষ্ঠানের পর এক মাস ধরে মঠের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীদের মত বিনিময় করে নতুন অধ্যক্ষ মনোনীত করেছেন। ততদিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী অধ্যক্ষ হিসাবে অধ্যক্ষের কাজ সামলেছেন গৌতমানন্দজি। এদিন বেলুড় মঠের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকেই স্থায়ী অধ্যক্ষ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন: ২০১৬ প্যানেল বাতিলে বাংলার স্কুলগুলিতে কতটা শূন্যতা তৈরি হবে? বিস্ফোরক পরিসংখ্যান পর্ষদের

বেলুড় মঠের তরফে জানানো হয়েছে, মঠের অছি পরিষদের সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য সহ-অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজি মহারাজ। তাঁকেই অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

স্বামী স্মরণানন্দের প্রয়াণ

গত ২৭ মার্চ প্রয়াত ষোড়শ অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টির দিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, স্বামী স্মরণানন্দজির পর নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হতে আনুমানিক এক মাস লাগবে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের সংঘ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলে। অছি পরিষদ ও পরিচালন সমিতি পরবর্তী অধ্যক্ষ কে হবেন তা ঠিক করবে। সেই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেবেন দীর্ঘ ২০-৩০ বছর ধরে মঠ ও মিশনের কার্যভার সামলাচ্ছেন যে সমস্ত সন্ন্যাসীরা।

১৯৫১ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের যোগ দেন স্বামী গৌতমানন্দ। তিনি আধ্যাত্মিক সাধনা করে স্বামী রঙ্গনাথানন্দজির অধীনে। ১৯৬৬ সালে মঠের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশরানন্দজির কাছে সন্ন্যাস দীক্ষা নেন। দীর্ঘদিন অরুণাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে গ্রামীণ আদিবাসী জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের কাজ করেছেন। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং দিল্লিতে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংএর মত দুটি গুরুত্ত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় সংস্থায় সাধারণ ও এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরও পড়ুন: ‘‌মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করুন’‌, এসএসসি কাণ্ডে সুর চড়ালেন শুভেন্দু

১৯৯০ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ট্রাস্টি হিসাবে নির্বাচিত হন স্বামী গৌতমানন্দ। এরপর ১৯৯৫ সালে চেন্নাই মঠের প্রধান হিসাবে দায়িত্বভার নেন। তিনি দেশে বহু ত্রাণ অভিযানে অংশ নিয়েছেন। দেশ ও বিদেশে বহু জায়গায় তাঁর বক্তৃতা ভারতের আধ্যাত্মিকতা ও বেদান্ত দর্শনের বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এমন একজন প্রাজ্ঞ ও সংস্কৃতিমনস্ক প্রবীণ সন্ন্যাসী রাওকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ পদে অন্তর্বর্তীকালীন কার্যভার গ্রহণ করায় খুশি ভক্ত ও অনুরাগীরা।